ভারতে ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে নিহত ৩০
ভারতের উত্তরপ্রদেশের রায়বেরেলি জেলার বাছরাওয়ানে ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে ৩০ জন নিহত ও অন্তত ১০৫ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। ভারতের রেল মন্ত্রণালয়ের সূত্রে এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা বাসস।
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে লখনৌ থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে জনতা এক্সপ্রেসের চারটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এ দুর্ঘটনার পর থেকে লখনৌ এবং বারানসির মধ্যে রেল চলাচল বন্ধ রয়েছে।
রেল মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা যায়, দুর্ঘটনায় ট্রেনটির একটি ইঞ্জিন ও তিনটি কামরা লাইনচ্যুত হয়। ট্রেনটি উত্তরখণ্ডের রাজধানী দেরাদুন থেকে উত্তরপ্রদেশের বারানসি যাচ্ছিল।
দুর্ঘটনাকবলিত কামরা থেকে যাত্রীদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা ৩০ জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। রায়বেরেলি ও লখনৌর বিভিন্ন হাসপাতালে আহত ১০৫ জন যাত্রীর চিকিৎসা চলছে।
রেল সূত্রে জানা যায়, ট্রেনটির বাছরাওয়ানে দাঁড়ানোর কথা ছিল। কিন্তু সিগনাল অগ্রাহ্য করেন ট্রেনটির চালক। তাতেই লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনাটি ঘটে।
উত্তর রেলের সিপিআরও নীরজ শর্মা জানান, ‘বিভাগীয় রেলওয়ে পরিচালক দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। রেল এবং প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও এলাকায় আছেন। উদ্ধারকাজ তদারকি করতে ওই এলাকায় রিলিফ ভ্যান পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে অ্যাম্বুলেন্স মজুদ রয়েছে। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য মেডিক্যাল টিমও মজুদ রয়েছে।’
রেলের জ্যেষ্ঠ বিভাগীয় বাণিজ্যিক পরিচালক অশ্বিনীকুমার সাংবাদিকদের বলেন, আহতদের এরই মধ্যে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে এবং উদ্ধারকাজ পুরোদমে চলছে। লখনৌর হাসপাতালগুলোকে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।
দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে এককালীন দুই লাখ রুপি, গুরুতর আহতদের ৫০ হাজার রুপি এবং আহতদের ২০ হাজার রুপি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের সরকারও মৃতদের প্রত্যেকের পরিবারকে দুই লাখ এবং আহতদের ৫০ হাজার রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে।
রেল প্রতিমন্ত্রী মনোজ সিংহ জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাটি কীভাবে ঘটল, তা জানতে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। উদ্ধারকাজ তদারকিতে নজর রেখেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু। তিনি দেশটির রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান এ কে মিত্তল এবং বোর্ডের সদস্য (ট্রাফিক) অজয় শুক্লাকে বাছরাওয়ানে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।