কিউবায় বারাক ওবামার ঐতিহাসিক সফর শুরু
ঐতিহাসিক সফরে কিউবায় পৌঁছেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ১৯৫৯ সালে কিউবায় বিপ্লবের পর এই প্রথম কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট দেশটি সফরে গেলেন। এর মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে চলে আসা দীর্ঘদিনের শত্রুভাবাপন্ন সম্পর্কের অবসান ঘটতে যাচ্ছে।
বিবিসি অনলাইন বলছে, গত বছর মার্কিন দূতাবাস পুনরায় খোলার মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে সম্প্রীতির নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়। আর ওবামার এ সফরের মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিনের বৈরী সম্পর্ক অতীতের খাতায় চলে গেল।
বাংলাদেশ সময় রোববার মধ্যরাতে কিউবায় পা রাখেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। প্রায় ৮৮ বছর পর ক্ষমতাসীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে কিউবা সফরে গেলেন তিনি।
কিউবার রাজধানী হাভানায় পুনরায় খোলা মার্কিন দূতাবাসে গিয়ে সেখানকার কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বারাক ওবামা বলেন, এই সফরকে ঐতিহাসিক বলে মনে করেন তিনি।
সফরে দেশটির প্রেসিডেন্ট ও কমিউনিস্ট নেতা রাউল কাস্ত্রোর সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। এ ছাড়া পুরোনো শহর ঘুরে দেখার আগ্রহও প্রকাশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
রাউল কাস্ত্রোর সঙ্গে দেখা হলেও অবসরে যাওয়া বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রোর সঙ্গে দেখা হবে না ওবামার। কিউবার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বাণিজ্য ও রাজনীতি নিয়ে বৈঠক করবেন তিনি।
সফরে মার্কিন ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা এবং তাদের দুই মেয়ে শাশা ও মালিয়াও ওবামার সঙ্গে রয়েছেন।
মার্কিন দূতাবাসে নিজের বক্তব্যে ওবামা বলেন, ‘এখানে আসতে পেরে আমার খুবই ভালো লাগছে। ১৯২৮ সালে প্রেসিডেন্ট ক্যালভিন কিউবা এসেছিলেন রণতরী নিয়ে। সেই সময় তাঁর আসতে সময় লেগেছিল তিন দিন। আর আমি এসেছি মাত্র তিন ঘণ্টায়। এই প্রথমবারের মতো আমার বিমান এয়ারফোর্স ওয়ান কিউবার মাটি স্পর্শ করেছে।’
নিজের এই সফরকে অতীতের তুলনায় উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দৃষ্টান্ত স্থাপন করার সুযোগ হিসেবে দেখছেন ওবামা।
বিবিসি অনলাইন জানিয়েছে, মার্কিন দূতাবাসের কর্মকাণ্ড শেষ করে হেঁটে পুরোনো শহর দেখতে বের হন বারাক ওবামা। এরপরের দুই ঘণ্টা রাস্তার আশপাশের সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এ সময় বেশ ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছিল। তবে এসবের তোয়াক্কা না করে ছাতা মাথায় দিয়েই ঘুরে বেড়ান মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
এর আগে ২০১৪ সালের শেষে দীর্ঘদিনের বৈরিতার সম্পর্কের অবসান ঘটাতে রাজি হন বারাক ওবামা ও রাউল কাস্ত্রো।