পালমিরায় গণকবরের সন্ধান
জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) দখল থেকে পালমিরা শহর মুক্ত করার পর সেখানে গণকবর খুঁজে পেয়েছে সিরিয়ার সেনাবাহিনী। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সানা জানিয়েছে, গণকবরে প্রায় ৪০টি মৃতদেহ পাওয়া গেছে।
বিবিসি জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে নারী-পুরুষ ও শিশু রয়েছে। এদের মধ্যে অনেককে শিরশ্ছেদ করে, কাউকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
পর্যবেক্ষকদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের শহর আলেপ্পোতে সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে।
বিদ্রোহীদের মধ্যে রয়েছে আল-কায়েদার আদর্শে অনুপ্রাণিত আল-নুসরা ফ্রন্ট। এক মাস ধরে দেশজুড়ে সহিংসতা বন্ধ থাকলেও এর বাইরে রয়েছে আল-নুসরা ফ্রন্ট ও আইএস।
পালমিরায় উদ্ধার করা মরদেহগুলো প্রাদেশিক রাজধানী হোমসের সামরিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতদের মধ্যে সেনাসদস্য, সরকারপন্থী মিলিশিয়া সদস্য ও তাদের স্বজনরা রয়েছে।
গত রোববার রাশিয়ার সমর্থিত সিরিয়ার সেনারা পালমিরা পুনরুদ্ধার করে এবং পৃথিবী বিখ্যাত প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ থাকা একটি ভবন উদ্ধার করে। আইএস প্রাচীন নিদর্শনগুলো ধ্বংস করেছে।
ব্রিটিশভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, আইএস জঙ্গিরা পালমিরা দখলের সময় অন্তত ২৮০ জনকে হত্যা করেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পালমিরা উদ্ধার আইএসের জন্য বড় ধাক্কা। ২০১৪ সংগঠনটি ইরাক ও সিরিয়ায় নিজেদের শাসনব্যবস্থা ঘোষণা দিয়েছিল।
সিরিয়ার সেনাবাহিনী জানিয়েছে, পালমিরায় সামরিক বিমানবন্দর ও একটি অবতরণস্থল রয়েছে। এখান আইএসের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে এবং আইএসের সরবরাহ চ্যানেল বন্ধ করে দেবে।
সিরিয়ায় রাশিয়ার ছয় মাসের বিমান হামলার ফলে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের প্রতিপক্ষকে দমন করা সম্ভব হচ্ছে এবং পাঁচ বছরের গৃহযুদ্ধ তাঁর পক্ষে মোড় নিচ্ছে।