বিতর্কের মুখে আয়করের তথ্য জানালেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী
বিতর্কের জেরে নিজের আয়কর ও আর্থিক বিষয়ে তথ্য প্রকাশ করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। ২০১৪-১৫ সালের এই নথিতে দেখা যায়, ওই বছর দুই লাখ পাউন্ডের বেশি আয়ের জন্য তিনি কর দিয়েছেন প্রায় ৭৬ হাজার পাউন্ড। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর জন্য এমন নথির প্রকাশ এই প্রথম।
আয়কর নথির বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, নটিংহিলের পারিবারিক বাড়ির ৫০ শতাংশ লভ্যাংশ থেকে ডেভিড ক্যামেরনের আয় হয়েছে ৪৬ হাজার ৮৯৯ পাউন্ড।
সম্প্রতি পানামা পেপারস শীর্ষক আর্থিক দুর্নীতির প্রতিবেদন প্রকাশ হাওয়ার পর ডেভিড ক্যামেরনের বাবার অফশোর অ্যাকাউন্ট এবং এটি থেকে তাঁর লাভবান হওয়া নিয়ে বিতর্ক দেখা দেয়। প্রথম দিকে বিষয়টি এড়িয়ে গেলেও পরে অফশোর অ্যাকাউন্ট বাল্টিমোর হোল্ডিংস থেকে লাভবান হওয়ার কথা স্বীকার করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। তবে একই সঙ্গে ডেভিড ক্যামেরন দাবি করেন, তিনি ও তাঁর বাবা অফশোর অ্যাকাউন্টের বিপরীতে ব্রিটেনের আয়কর পরিশোধ করেছেন। তবে আয়কর নথি প্রকাশের মাধ্যমে সমালোচকদের মুখ বন্ধ হলো বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের আয়কর নথি থেকে আরো জানা গেছে, ২০১০ সালে বাল্টিমোর হোল্ডিংস বিক্রি থেকে তিনি ও তাঁর স্ত্রী ১৯ হাজার পাউন্ড লাভবান হন। এর মধ্যে ডেভিড ক্যামেরন নিজে পান নয় হাজার ৫০১ পাউন্ড। ওই সময় আয়কর প্রদানের সর্বনিম্ন সীমা ছিল ১০ হাজার ১০০ পাউন্ড। ২০১০ সালে বাবার মৃত্যুর পর ডেভিড ক্যামেরন তিন লাখ পাউন্ড সম্পত্তি পান। পরে সম্পত্তি বণ্টনে ভারসাম্য করা হলে ২০১১ সালের মে ও জুলাই মাসে মায়ের কাছ থেকে এক লাখ পাউন্ড করে অর্থ পান ডেভিড ক্যামেরন। ২০১৪-১৫ সালে দুই লাখ ৩০৭ পাউন্ড আয়ের বিপরীতে ডেভিড ক্যামেরন আয়কর দেন ৭৫ হাজার ৮৯৮ পাউন্ড।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, পুরোপুরি খোলা ও স্বচ্ছ হওয়ার স্বার্থেই তিনি নিজের আর্থিক বিষয়ের নথি প্রকাথ করছেন। এ ছাড়া আয়কর নথি প্রকাশের পাশাপাশি ডেভিড ক্যামেরন কর ফাঁকির তদন্ত করতে বিশেষ টাস্কফোর্স গঠনের কথা জনিয়েছেন।