বালিতে লেখা সাহায্যের আবেদন, নির্জন দ্বীপ থেকে তিনজন উদ্ধার
সমুদ্রে নৌকাডুবে নির্জন দ্বীপে আটকা পড়েছেন তিন ব্যক্তি। জনমানবহীন ও বসবাস অযোগ্য ছোট দ্বীপ থেকে নিকটতম সাহায্য ছিল কয়েক নটিক্যাল মাইল দূরে। বাঁচার একমাত্র ভরসা উদ্ধারকারীদের নজরে পড়া। এই ভরসায়ই ইংরেজিতে হেল্প লেখা হলো বালিতে। আর এমন উদ্যোগেই তিন দিন পর উদ্ধার পেলেন ওই ব্যক্তিরা।
রোমাঞ্চকর উপন্যাস বা চলচ্চিত্রের মতো ঘটনাটি ঘটেছে প্রশান্ত মহাসাগরের মাইক্রোনেশিয়ায় কাছে। গত সপ্তাহের এ ঘটনা এরই মধ্যে বিশ্বের সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সাড়া ফেলেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ঘটনার শুরু গত সপ্তাহের রোববার। ওই দিন ১৯ ফুট দীর্ঘ এক নৌকায় সমুদ্র ভ্রমণে বেড়িয়েছিলেন তিন ব্যক্তি। রাতে বড় ঢেউয়ে ডুবে যায় বৈঠাচালিত ওই নৌকা। অন্ধকার রাতে লাইফজ্যাকেট পরা তিন ব্যক্তি সাঁতরে পৌঁছান জনশূন্য ফানাডিক দ্বীপে। তাৎক্ষণিকভাবে প্রাণে বাঁচলেও শুরু হয় তাঁদের আরেক সংগ্রাম। তাঁরা বুঝতে পারেন, বাঁচতে হলে দ্রুত উদ্ধারকারী দলের নজরে পড়তে হবে। বুদ্ধি করে দ্বীপের পামগাছের পাতা দিয়ে সাদা বালিতে ‘হেল্প’ শব্দটি লেখেন তাঁরা। এরপর শুরু হয় তাঁদের অপেক্ষার পালা।
এদিকে, পরিবারের কাছ থেকে তিন ব্যক্তির সমুদ্রে নিখোঁজ হওয়ার খবর জানার পরপরই তৎপর হয়ে ওঠে স্থানীয় প্রশাসন। সমুদ্রে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন জাহাজে খবর পাঠানো হয়। এ ছাড়া তাঁদের খোঁজে বেরিয়ে পড়ে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী।
নিখোঁজের তিন দিন পর বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর একটি উদ্ধারকারী বিমান নির্জন ফানাডিক দ্বীপে হেল্প লেখা দেখতে পান। আর বিমানের আওয়াজ শুনে লাল রঙের লাইফজ্যাকেট নেড়ে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেন দ্বীপে আটকে থাকা তিন ব্যক্তি।
মাইক্রোনেশিয়া কর্তৃপক্ষকে নিখোঁজ ব্যক্তিদের অবস্থান জানায় যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী। পরে চার নটিক্যাল মাইল দূরের পুলাপ দ্বীপ থেকে নৌকা নিয়ে ফানাডিক দ্বীপে আটকে থাকা তিন ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়।