বর্ধমান বোমা বিস্ফোরণ : চলতি মাসেই অভিযোগপত্র
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বর্ধমানে বোমা বিস্ফোরণের পাঁচ মাস পর অভিযোগপত্র চূড়ান্ত করেছে দেশটির জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনআইএ)। চলতি মাসের শেষ দিকে অভিযোগপত্র প্রকাশ করা হবে।
দি ইকোনমিক টাইমস জানিয়েছে, প্রকাশিতব্য এ অভিযোগপত্রে জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্যদের বাংলাদেশে হামলার পরিকল্পনা উন্মোচিত হবে। একই সঙ্গে এ অভিযোগপত্রে জঙ্গি সংগঠনটি যে ভারতের জন্য হুমকি, তা-ও প্রকাশিত হবে।
এনআইএর ওই অভিযোগপত্রে জেএমবির দুই সদস্যের (যাঁরা বিস্ফোরণের সময় বাড়িটিতে ছিলেন) স্ত্রীর বক্তব্য আছে।
গত বছরের ২ অক্টোবর বর্ধমানের খাগড়াগড়ের একটি বাড়িটিতে বোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে দুজন নিহত ও একজন আহত হন। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই নারীর কাছ থেকে বাড়িটিতে বোমা তৈরি, বিস্ফোরণের সময় কী হয়েছিল, বাড়িটিতে তাঁদের জিহাদি প্রশিক্ষণের বিষয়টি জানা গেছে।
বিস্ফোরণে নিহত শাকিল আহমেদের গুলশানা বিবি অন্যতম সন্দেহভাজন আসামি। তিনি এনআইএকে জানান, তাঁকে বাড়িটির কাছাকাছি একটি মাদ্রাসায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
গুলশানা বিবি আরো বলেন, ‘শিমুলিয়া মাদ্রাসায় ৩০-৩৫ জন নারী শিক্ষার্থী ছিল। তাদের সবাই অবিবাহিত। শিক্ষক ও কর্মীরা বিবাহিত ছিলেন। জিহাদের প্রশিক্ষণ একমাত্র সেই নারীদেরই দেওয়া হতো, যাঁদের স্বামী জেএমবির সদস্য ছিলেন।’ তিনি বলেন, ২০০৭ সালে শাকিল আহমেদকে বিয়ে করেন। এর পর তাঁর স্বামী জেএমবির সঙ্গে জড়িত থাকার খবর পেয়ে নদীয়াতে মা-বাবার বাড়ি থেকে তাঁকে বের করে দেওয়া হয়।
খাগড়াগড় থেকে গ্রেপ্তার জেএমবির আরেক নারী সদস্য আলিমা বিবির বক্তব্যও সংগ্রহ করতে পেরেছে ইকোনমিক টাইমস। আলিমাকে খাগড়াগড় থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
জবানিতে আলিমা বলেন, ‘২ অক্টোবর দুপুর ১২টার দিকে স্বপন মণ্ডলের বাড়িতে বোমা বিস্ফোরিত হয়। এতে গুলশানার স্বামী ঘটনাস্থলেই নিহত হন। গুরুতর আহত হন আবদুল হাকিম ওরফে হাসান ও স্বপন মণ্ডল।’