বিস্ময়কর পাথর-গোলক
মানুষের হাতে তৈরি সবচেয়ে প্রাচীন একটি পাথর-গোলকের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে দাবি করছেন এক প্রত্নতত্ত্ববিদ। পাথরটির আয়তন চার থেকে পাঁচ ফুটের মধ্যে। এর ভেতরে উচ্চ মাত্রার লৌহের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
বসনিয়ার জাভিদোভিসি শহরের কাছে একটি জঙ্গলে এই পাথরের সন্ধান পেয়েছেন প্রত্নতত্ত্ববিদ ড. সেমির ওসমানাগিক। তিনি বিশ্বাস করেন, প্রায় দেড় হাজার বছর আগেও যে একটি উন্নত সভ্যতা পৃথিবীতে ছিল তা এই পাথরের উপস্থিতি প্রমাণ করে।
বসনিয়ার এই অঞ্চলে প্রাচীন আরো নিদর্শন রয়েছে বলে জানিয়েছেন এই প্রত্নতত্ত্ববিদ। তবে এর অনেকাংশই ধ্বংস হয়ে গেছে। বিশেষ করে ১৯৭০ সালে গুজব ওঠে যে এসব নিদর্শনের ভেতর সোনা লুকিয়ে আছে। সেই সোনার খোঁজে ধ্বংস করে ফেলা হয় বহু প্রাচীন নিদর্শন।
ড. ওসমানাগিককে বলা হয় বসনিয়ার ইন্ডিয়ানা জোনস। ২০০৫ সালের এক ঘোষণা দিয়ে আলোচনায় আসেন তিনি। সে সময় বসনিয়ার ভিসোকো ভ্যালি সম্পর্কে তিনি বলেন, সম্ভবত প্রাচীন পিরামিডের সঙ্গে এই ভ্যালি ভূগর্ভস্থ টানেলের মাধ্যমে যুক্ত ছিল। যদিও তাঁর এই দাবি নিয়ে হাস্যরস করেছে অনেকেই। তবে এ বিষয়ে গবেষণা চালিয়ে যেতে ড. ওসমানাগিককে অর্থ দিয়েছে বসনিয়ার সরকার।
এদিকে ইউরোপিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব আর্কিওলজিস্টের প্রধান অ্যান্থনি হার্ডিং ভিসোকো ভ্যালি সম্পর্কে ড. ওসমানাগিকের এই দাবিকে পুরোপুরি অযৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছেন।
এরপর ২০১৬ সালে আবারও আলোচনার শীর্ষে এলেন এই বসনীয় প্রত্নতাত্ত্বিক। কারণ আবারও এই পাথর সম্পর্কে তাঁর দাবি নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। ইউনিভার্সিটি অব ম্যানচেস্টারের স্কুল অব আর্থের গবেষক ম্যান্ডি এডওয়ার্ড মেইল অনলাইনকে বলেন, এই পাথর মানুষের তৈরি হতেই পারে না। এটি বিভিন্ন প্রাকৃতিক খনিজ পদার্থের মিশেলে দীর্ঘ সময় ধরে তৈরি হয়েছে। এই পদ্ধতিকে বলা জয় জমাট বাঁধা পদ্ধতি।