ইয়েমেনে সৌদি আরবের হামলা, নিহত ১৩
ইয়েমেনে হাউথি শিয়া বিদ্রোহীদের ওপর বিমান হামলাসহ সামরিক অভিযান শুরু করেছে সৌদি আরব। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত সংবাদমাধ্যমকে এ কথা জানিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় ভোর ৫টায় হামলা শুরু হয়। এরই মধ্যে নারী ও শিশুসহ ১৩ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
সিএনএন জানিয়েছে, সৌদি রাষ্ট্রদূত আদেল আল-জুবায়ের বলেছেন, ইয়েমেনের রাষ্ট্রপতি আবদ্রাব্বুহ মুনসুর হাদির বৈধ সরকারকে রক্ষা করতে এ হামলা শুরু করা হয়েছে। সৌদি আরবের হামলায় আরব অঞ্চলের নয়টি দেশ সমর্থন জানিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সৌদি আরবের ঘোষণার পর তাঁরা রাজধানী সানা ও শহরের বিমানবন্দরে বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন।
রয়টার্স জানিয়েছে, এরই মধ্যে হাউথি বিদ্রোহীদের জ্যেষ্ঠ নেতা সতর্ক করে বলেছেন, সৌদি অভিযান ইয়েমেনের বিরুদ্ধে আগ্রসন এবং এতে করে এ অঞ্চলে বিস্তৃত পরিসরে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়তে পারে।
কয়েক মাস ধরে সরকারের বিরুদ্ধে সহিংস অভিযান শুরু করেছে হাউথি বিদ্রোহীরা। জঙ্গিগোষ্ঠীটি জানিয়েছে, শক্তির বিপক্ষে তারা শক্তি দিয়েই লড়াই করবে।
দীর্ঘদিন ধরে আল-কায়েদার শক্ত ঘাঁটি ইয়েমেনে আল-কায়েদার ভয়ংকর শাখা রয়েছে। সম্প্রতি কয়েক মাসে হাউথি বিদ্রোহীরা রাজধানী শহর নিয়ন্ত্রণে নেওয়া শুরু করলে দেশটি নৈরাজ্যের পড়ে। প্রেসিডেন্ট হাদি রাজধানী থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন।
আল-কায়েদা সদস্যদের রুখতে কয়েক বছর ধরে ইয়েমেন সরকার যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন (মনুষ্যবিহীন বিমান) হামলা ও বিশেষ অভিযানের অনুমতি দিয়ে আসছিল। তবে ইয়েমেন থেকে মার্কিন বিশেষ বাহিনী প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর অস্থিরশীলতার দিকে মোড় নেয়।
পার্শ্ববর্তী দেশে এ ধরনের বিশৃঙ্খলা সৌদি আরবের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। ইয়েমেনের সঙ্গে দেশটির দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে।
হাউথি বিদ্রোহীরা শিয়া জনগোষ্ঠীর হওয়ায় সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ ইরান সরকারের প্রতিনিধি হিসেবেই তাদের বিবেচনা করছে। আরব অঞ্চলে আরেকটি শিয়া-নিয়ন্ত্রিত রাষ্ট্রের অভ্যুদয় নিয়ে সৌদি আরব শঙ্কিত।