সৌদি আরবে ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট
ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আবদ-রাব্বু মুনসুর হাদি সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে পৌঁছেছেন বলে কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন। গত বুধবার রাতে হাউথি বিদ্রোহীদের ওপর সৌদি আরব বিমান হামলা শুরু করার পর এডেন থেকে তিনি অজ্ঞাত স্থানে চলে গিয়েছিলেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার এক সৌদি কর্মকর্তা জানান, হাদি রিয়াদ সফর করছেন। আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠিতব্য আরব লিগ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য হাদি মিসরে যাবেন।
এদিকে, হাউথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সৌদি আরবের বিমান হামলাকে ইরান একটি বিপজ্জনক পদক্ষেপ বলে আখ্যা দিয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় রাতেও ইয়েমেনের রাজধানী সানায় এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দরনগরী এডেনের কাছে একটি বিমানঘাঁটিতে বিমান হামলা চালিয়েছে সৌদি আরব। এ হামলায় বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। প্রথম দিনের হামলায় ১৩ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। এ ছাড়া বিদ্রোহীদের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট হাদির অনুগত সৈন্যদের সংঘর্ষের ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। এতে ১৮ জন নিহত হয়েছে। সৌদি আরব ১০০টি বিমান হামলা চালিয়েছে। এ অভিযানে বেশ কয়েকটি দেশ যোগ দিয়েছে।
সৌদি আরবের আল-অ্যারাবিয়া টেলিভিশন জানিয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, কুয়েত, কাতার, জর্ডান, মরক্কো ও সুদান বিমান পাঠাচ্ছে। মিসর, জর্ডান, সুদান ও পাকিস্তান হাউথির বিরুদ্ধে স্থল অভিযানেও যোগ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। এ অভিযানে আনুষঙ্গিক সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এই জোটকে সতর্ক করে দিয়ে হাউথির বিদ্রোহীরা বলেছে, সৌদি অভিযান ইয়েমেনের বিরুদ্ধে আগ্রাসন এবং এতে করে এ অঞ্চলে বিস্তৃত পরিসরে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়বে।
কয়েক মাস ধরে ইয়েমেন সরকারের বিরুদ্ধে সহিংস অভিযান শুরু করেছে হাউথি বিদ্রোহীরা।
গত জানুয়ারিতে বিদ্রোহীরা সানার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর হাদি গৃহবন্দী অবস্থায় ছিলেন। গত মাসে তিনি সানা থেকে এডেনে আশ্রয় নেন। বিদ্রোহীরা এডেনের কাছাকাছি চলে যাওয়ার পর হাদি অজ্ঞাত স্থানে চলে গিয়েছিলেন।
দীর্ঘদিন ধরেই ইয়েমেনে আল-কায়েদার শাখা রয়েছে। আল-কায়েদা সদস্যদের রুখতে কয়েক বছর ধরে ইয়েমেন সরকার যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলা ও বিশেষ অভিযানের অনুমতি দিয়ে আসছিল।
ইয়েমেন থেকে মার্কিন বিশেষ বাহিনী প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর থেকেই এই অস্থির পরিস্থিতি দেখা দেয়। প্রতিবেশী দেশে এ ধরনের বিশৃঙ্খলা সৌদি আরবের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। ইয়েমেনের সঙ্গে দেশটির দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে।