২০১৫ সাল ‘সর্বোচ্চ সাংবাদিক হত্যার’ বছর
গত এক দশকের মধ্যে ২০১৫ সাল গণমাধ্যমের স্বাধীনতার সূচকে সর্বনিম্ন অবস্থানে ছিল বলে জানিয়েছে ফ্রান্সভিত্তিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম পর্যবেক্ষক সংস্থা রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরডব্লিউবি)। ৩ মে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সংস্থাটি এ তথ্য জানায়। আরডব্লিউবির ওই প্রতিবেদনে ২০১৫ সালকে ‘সর্বোচ্চ সাংবাদিক হত্যার’ বছর হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
২০১৫ সালে সাংবাদিক হত্যার ঘটনাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ‘ভয়াবহ’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ওই বছরের ৭ জানুয়ারি ‘শার্লে হেবদো’ হামলাকে। সন্ত্রাসী ওই হামলায় ১২ জনের প্রাণহানি হয়, যার মধ্যে আটজনই ছিলেন সাংবাদিক। এ ছাড়া জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) কর্তৃক জাপানি সাংবাদিক কেনজি গোতোর শিরচ্ছেদের ঘটনাও উঠে এসেছে প্রকাশিত প্রতিবেদনে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম পর্যবেক্ষক সংস্থাটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ক্রমবর্ধমান রাজনীতি, অপরাধ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণের প্রধান কারণ। কিন্তু রাজনীতির কালো ছায়ায় সংবাদমাধ্যম বারবার আক্রমণের শিকার হচ্ছে। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রকাশনাকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে, কখনো কখনো সাংবাদিক, এমনকি সম্পাদককে হয়রানি করা হচ্ছে। আটক করা হচ্ছে, অনেকে খুনও হচ্ছেন।
আরডব্লিউবির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, দায়িত্ব পালনের সময় বা সংশ্লিষ্ট কাজে ২০১৫ সালে বিশ্বব্যাপী ১১০ জন সাংবাদিক হত্যার শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ৪৯ জনকে লক্ষ্য করে খুন করা হয়েছে। বাকিদের মধ্যে ১৮ জনকে দায়িত্ব পালনকালে খুন হয়েছেন। আর বাকি ৪৩ জনের হত্যার পেছনে কোনো কারণ জানা যায়নি।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে কাজের জন্য সবচেয়ে ‘প্রাণঘাতী’ হিসেবে ইরাক, সিরিয়া, ফ্রান্স, ইয়েমেন ও দক্ষিণ সুদানের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।