নিজামীর রিভিউ আবেদন বাতিলে পাকিস্তানের উদ্বেগ!
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর রিভিউ আবেদন বাতিল করায় উদ্বেগ জানিয়েছে পাকিস্তান। এ বিষয়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুক্রবার একটি বিবৃতি প্রকাশ করে।
শনিবার পাকিস্তানের প্রভাবশালী পত্রিকা ডন সংবাদটি প্রকাশ করে। এর আগেও মানবতাবিরোধী অপরাধে সাজাপ্রাপ্তদের বিচারের নিন্দা জানিয়েছিল পাকিস্তান। এমনকি পাকিস্তানের আদালতে এই বিচার বিষয়ে নিন্দা প্রস্তাব আনা হয়েছিল।
ডন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিটি পুরোপুরি ছেপে দিয়েছে। সেখানে উল্লেখ আছে, ১৯৭১ সালে যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে মাওলানা নিজামীর জড়িত থাকার জন্য বিতর্কিত ট্রাইব্যুনাল তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের চূড়ান্ত রায় দিয়েছে। বিতর্কিত বিচারে তাঁর রিভিউ আবেদন খারিজ করে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখার নিন্দায় সরব হয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো। আমরাও তাদের সঙ্গে নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।
বিবৃতিতে ১৯৭৪ সালের এপ্রিলে বাংলাদেশ-ভারত ও পাকিস্তানের একটি ত্রিদেশীয় চুক্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেই চুক্তির কথা উল্লেখ করে বলা হয়, শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার সে সময় যুদ্ধাপরাধের বিষয়টি সুরাহা করে গিয়েছেন। সে সময় করা ওই ত্রিদেশীয় চুক্তিতে একাত্তরের ঘটনা ভুলে সামনে অগ্রসর হওয়ার কথা বলেছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ১৯৭৪ সালের চুক্তিটি দিল্লিতে চুক্তি হয়েছিল। ওই চুক্তিটিতে সই করেছিলেন বাংলাদেশ ভারত ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ওই চুক্তিতে বাংলাদেশ সরকার আর যুদ্ধাপরাধের বিচার করবে না বলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিল।
কিন্তু ২০০৯ সালে মিসেস শেখ হাসিনা ওয়াজেদ ক্ষমতায় আসার পরে যুদ্ধাপরাধের বিচারের কাজ শুরু করেন বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা আছে।
ডনের খবরে বলা হয়, বিতর্কিতভাবে সর্বোচ্চ আদালত নিজামীর রিভিউ আবেদন বাতিলের পর একমাত্র প্রাণভিক্ষার পথ খোলা রয়েছে। তবে নিজামীর দলের পক্ষ থেকে দেশব্যাপী প্রতিরোধের ডাক দেওয়া হয়েছে।
তবে বাংলাদেশের আদালতের বিরুদ্ধে এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করায় দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে প্রভাব পড়তে পারে বলেও ডনের খবরে বলা হয়। এ ছাড়া ১৯৭১ সালের অপরাধে বিচারের রায়ে দুই দেশের সম্পর্ক চাপের মধ্যে আছে বলেও খবরে উল্লেখ করা আছে।