জার্মানির পার্লামেন্টে প্রথম মুসলমান নারী স্পিকার
জার্মানির একটি স্টেট পার্লামেন্টের স্পিকার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মুসলিম নারী মুহতেরাম আরাস (৫০)। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি স্পিকার নির্বাচিত হন। এই বিজয় জার্মানির পরিবর্তনকেই ইঙ্গিত করছে বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা।
যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম ইনডিপেনডেন্ট জানায়, জার্মানির গ্রিন দলের রাজনীতিবিদ মুহতেরাম আরাস দেশটির বাডেন-ভুটেমবার্গ স্টেট পার্লামেন্টের স্পিকার নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে ওই পদটি ছিল অভিবাসনবিরোধী দলের হাতে।
স্পিকার নির্বাচিত হওয়ার পর মুহতেরাম আরাস স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা ইতিহাস রচনা করেছি।’ আর এই বিজয় মুক্ত, সহনশীল ও সফল বলে বর্ণনা করেন আরাস।
ইনডিপেনডেন্ট জানায়, মুহতেরাম আরাসের জন্ম তুরস্কে। অল্প বয়সেই তিনি মা-বাবার সঙ্গে জার্মানি চলে যান। তাঁদের বসবাস শুরু হয় বাডেন-ভুটেমবার্গ রাজ্যের স্টুটগার্ট শহরে। সেখানেই তিনি অর্থনীতিতে পড়াশোনা শেষ করেন। পরে কর পরামর্শ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন।
১৯৯২ সালে রাজনীতি শুরু করেন মুহতেরাম আরাস। গ্রিন দল থেকে স্থানীয় কাউন্সিলর হন তিনি। পরে স্থানীয় রাজনীতিতে নিজের অবস্থান করে নেন এবং গ্রিনের নেতা হিসেবেই স্টেট পার্লামেন্টের প্রতিনিধি হন। পরে ৬৯ এমপির পার্লামেন্ট তাঁকে স্পিকার নির্বাচিত করে।
ইনডিপেনডেন্ট জানায়, ধর্ম, অভিবাসন ও সন্ত্রাসবাদের উত্তজনার মধ্যেই স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনের আগের দিনও রেলস্টেশনে ‘আল্লাহু আকবর’ বলে চারজনকে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, মুহতেরাম আরাসের প্রথম অধিবেশনে যোগ দেওয়া থেকে বিরত থাকার ঘোষণা দিয়েছে অভিবাসনবিরোধী দল অলটারনেটিভ ফর জার্মানির (এএফডি) সদস্যরা। এর আগে চলতি মাসের শুরুতে এক নির্বাচনে দলটি ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়িয়েও বেশ সফলতা পেয়েছিল।