বোকো হারামের আইএস সংশ্লিষ্টতা নিয়ে জাতিসংঘের উদ্বেগ
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সঙ্গে নাইজেরিয়ার জঙ্গিগোষ্ঠী বোকো হারামের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।
বিবিসি জানায়, ২০১৫ সালে বোকো হারাম আইএসের আনুগত্য স্বীকার করে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের এক বিবৃতি অনুযায়ী, এটি পশ্চিম ও মধ্য আফিকায় শন্তির জন্য হুমকিস্বরূপ।
যুক্তরাষ্ট্রের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, বোকো হারাম যোদ্ধারা লিবিয়ায় আইএসে যোগ দিচ্ছে বলে তাদের কাছে তথ্য আছে।
বোকা হারামের সঙ্গে যুদ্ধ বিষয়ে আজ শনিবার নাইজেরিয়ায় এক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। ওই সম্মেলনে অংশ নেবেন বেনিন, ক্যামেরন, শাদ ও নাইজারের রাষ্ট্রপ্রধান। এ ছাড়া ওই সম্মেলনে আরো অংশ নেবেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ড এবং যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি সেক্রেটারি অব স্টেট অ্যানথনি ব্লিনকেন।
সম্মেলনের প্রাক্কালে অ্যানথনি ব্লিনকেন বলেন, বোকো হারাম যোদ্ধারা লিবিয়া যাচ্ছে। কয়েক মাস ধরেই সেখানে আইএসের প্রভাব বেড়েছে। তিনি আরো বলেন, বোকো হারামের যোগাযোগ ক্ষমতাও বেড়েছে। তবে এই যোগাযোগ বন্ধে সক্রিয় আছে যুক্তরাষ্ট্র।
বোকো হারামের সঙ্গে লড়তে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে যুদ্ধবিমান কিনতে চেয়েছিল নাইজেরিয়া। এই বিমান কেনার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি যুক্তরাষ্ট্র।
বোকো হারাম যোদ্ধারা নাইজেরিয়ার বেসামরিক জনগণ ও স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালায়। নাইজেরিয়ার সেনাবাহিনী তাদের হাত থেকে এলাকা দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছে।
নাইজেরিয়াসহ মধ্য আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে বোকো হারামের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর যুদ্ধে এ পর্যন্ত ২০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। বাস্তুহীন হয়েছে ২০ লাখের বেশি মানুষ।