ব্রিটেনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত দুজনের কারাদণ্ড
ইসলামিক স্টেট থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ইংল্যান্ডে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলার পরিকল্পনা করার দায়ে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
গত শুক্রবার দণ্ড পাওয়া জুনায়েদ খান নামের ওই ব্রিটিশ নাগরিককে অন্তত ১২ বছর কারাবন্দি থাকতে হবে।
একই সঙ্গে নিজের ২৩ বছর বয়সী চাচা সজীব খানকে নিয়ে ইসলামিক স্টেটে যোগ দিতে যাওয়ার অপরাধও প্রমাণিত হয়েছে জুনায়েদের বিরুদ্ধে। সজীব খানকে ১৩ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত আট বছর তাঁকে কারাগারে কাটাতে হবে।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, জুনায়েদ খান (২৫) জঙ্গি সংগঠন আইএসের একজন সমর্থক। তিনি ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত জঙ্গি মোহাম্মদ ইমাওয়াজি বা জিহাদি জনেরও একনিষ্ঠ সমর্থক।
স্বীকারোক্তিতে জুনায়েদ জানিয়েছেন, পূর্ব ইংল্যান্ডে স্থাপিত যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিমানঘাঁটিতে হামলার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে একটি ওষুধ কোম্পানির পণ্য সরবরাহের জন্য চালকের চাকরি নেন তিনি। ২০১৫ সালের জুলাই মাস থেকে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করছিলেন তিনি।
রায় ঘোষণার সময় বিচারক অ্যান্ডু ইডিস বলেন, ‘জুনায়েদ খানের অপরাধ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সে জন্য তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া উচিত।’
তদন্তে জানা যায়, উত্তর লন্ডনের লুটন শহরের বাসিন্দা জুনায়েদ খান সিরিয়ায় যুদ্ধরত আইএস যোদ্ধা আবু হোসাইনের সঙ্গে অনলাইনে মেসেজ আদান-প্রদান করতেন। এই আবু হোসাইনও একজন ব্রিটিশ নাগরিক বলে জানিয়েছে পুলিশ। পরে যুক্তরাষ্ট্রের চালানো এক ড্রোন হামলায় মারা যান তিনি।
বিচারকাজ চলাকালে রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, কীভাবে বার্তা আদান-প্রদানের মাধ্যমে আবু হোসাইনের সঙ্গে পরামর্শ করে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলার পরিকল্পনা করছিল জুনায়েদ।