রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ‘সময়’ চেয়েছেন সু চি
রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সময় চেয়েছেন মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সুচি। গতকাল রোববার মিয়ানমারের রাজধানী নাইপিদোতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সুচি এ কথা বলেন। ওই সংবাদ সম্মেলনে রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার দেওয়ায় সুচিকে আহ্বান জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে জন কেরি বলেন, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সমস্যা দেশটির জন্য বেশ সম্পর্শকাতর। তবে এই সমস্যার সমাধান হলে রাখাইন প্রদেশসহ পুরো মিয়ানমারের শান্তি আসবে। রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে তাঁর সঙ্গে সুচির আলোচনা হয়েছে বলে জানান কেরি।
২০১২ সালে রাখাইন প্রদেশের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সংখ্যাগুরু বৌদ্ধদের সংঘাত শুরু হয়। এর পর মিয়ানমারের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া সংঘর্ষে এক লাখ ২৫ হাজার রোহিঙ্গা ঘরবাড়ি হারিয়েছে।
গত বছর নভেম্বরে মিয়ানমারের ঐতিহাসিক নির্বাচনে প্রায় অর্ধশতাব্দী ধরে দেশটিতে চলা সামরিক শাসনের অবসান হয়। চলতি বছর ক্ষমতায় এসেছে সুচির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি। সম্প্রতি মিয়ানমারের ওপর থেকে অর্থ ও বাণিজ্যের নিষেধাজ্ঞা সরিয়ে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এখনো অনেক নিষেধাজ্ঞা বলবৎ আছে।
বিবিসি জানায়, রোহিঙ্গাদের প্রতি মিয়ানমারে তীব্র বিরোধ দেখা যায়। এই বিরোধীদের মধ্যে সুচির নিজ দলের সদস্যও আছে। গত সপ্তাহে মিয়ানমারে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্কট মার্সিয়েলকে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি ব্যবহার না করার পরামর্শ দেন সুচি।
বৌদ্ধ প্রধান দেশ মিয়ানমারের অনেকেই রোহিঙ্গাদের দেশটির নাগরিক বলতে নারাজ। বরং রোহিঙ্গাদের বাঙালি বলে দাবি তাঁদের। এই কারণে ন্যূনতম মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে রোহিঙ্গাদের।