পাত্রীর বয়স ৭১, পাত্র ২১ বছরের
অনলাইনে প্রেমের পর বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাঁরা। সবকিছুই ঠিকঠাক ছিল কিন্তু আদালতের নির্দেশে আটকে গেল তাঁদের বিয়ে। আদালত প্রতারণার অভিযোগ তুলে এ বিয়ে আটকে দিয়েছেন।
যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম দি ইনডিপেনডেন্টের খবর অনুযায়ী, সম্প্রতি সুইজারল্যান্ডের ৭১ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা তাঁর চেয়ে ৫০ বছরের ছোট ২১ বছরের তিউনিশিয়ার এক যুবককে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। বিষয়টি আদালতে জানালে আদালত তাঁদের বিষয়টিকে নাকচ করে দেন।
৭১ বছর বয়সী বৃদ্ধা পেশায় একজন চিকিৎসক ছিলেন। ১৬ বছর আগে তাঁর স্বামী মারা যান। তাঁর দুই মেয়ে আছে, যাঁদের কেউই এখন আর সুইজারল্যান্ডে বাস করেন না। আর ২১ বছর বয়সী ওই যুবকের পরিবার ছাগল ও ভেড়া বিক্রি করে তাদের সংসার চালায়।
৫০ বছরের ছোট যুবকের প্রেমে পড়া এবং বিয়ের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে বৃদ্ধা বলেছেন, গান এবং ভ্রমণের ক্ষেত্রে তাঁদের পছন্দ একই রকম হওয়ায় তাঁদের মধ্যে প্রেম জমে উঠেছে।
অন্যদিকে যুবকের ভাষ্য, ৫০ বছরের ব্যবধান তাঁর কাছে কোনো বিষয়ই নয়, কারণ তিনি কোনো সন্তান চান না।
কিন্তু আদালত বিয়ের বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছে বলেছেন, ওই যুবক শুধুমাত্র সুইজারল্যান্ডে প্রবেশের জন্যই অনুভূতি নিয়ে প্রতারণা করছেন।
আদালত আরো জানান, তিউনিশিয়ার রাজধানী তিউনিস থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরে বাংদাই জেলার ওই যুবক কেবল সুইজারল্যান্ডে প্রবেশের জন্য ওই নারীর সঙ্গে প্রতারণা করছেন।
৭১ বছরের ওই নারী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, তিন বছর আগে যখন ইন্টারনেটের একটি চ্যাটরুমে তিউনিশিয়ায় ছেলেটির সঙ্গে পরিচয় হয়, তখন তাঁর বয়স ১৮। তিন বছর পর গত আগস্টে ওই ছেলের সঙ্গে দেখা করতে যান তিনি।
আর এর পাঁচদিন পর বিয়ের জন্য তিউনিশিয়ায় অবস্থিত সুইচ এম্বাসিতে আবেদন করেন তাঁরা। সুইস ওই নারী জানান, ‘দেখা হওয়ার পর সে আমাকে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। তার পরিবার আমাকে খুবই আন্তরিকভাবে গ্রহণ করেছে। সেখানে তার বোন আমাকে কোরআন শরিফ উপহার দিয়েছে।’
‘সে আমাকে ত্যাগ করতে চায়নি এমনকি আমিও সুইজারল্যান্ডে ফিরতে চাইনি’-যোগ করেন ৭১ বছরের ওই নারী। ওই নারী আরো বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে আমাদের আনুষ্ঠানিক বিয়ে আটকে গেলেও আমরা একে অপরকে বিয়ে করেছি।’
এদিকে ওই যুবক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘বয়সের পার্থক্যটা আমাদের মধ্যে কোনো সমস্যা নয়, কারণ আমি কোনো সন্তান চাই না। আমি তাকে ভালোবাসি এবং তাকে নিয়েই বাঁচতে চাই।’