ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে ৩০ জনের মৃত্যুর শঙ্কা
ভূমধ্যসাগরে লিবিয়ার উপকূলে এক নৌকাডুবিতে অন্তত ৩০ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। নৌকাডুবির ঘটনাস্থল থেকে ৭৭ জনকে উদ্ধার করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নৌবাহিনী।
বিবিসি জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার লিবিয়া উপকূল থেকে ৩৫ নট্যিকাল মাইল (৬৫ কিলোমিটার) দূরে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। এ খবর জানতে পেরে ইতালির কোস্টগার্ড এবং ইইউর উদ্ধারকারী জাহাজ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
বিবিসি জানায়, লুক্সেমবার্গের একটি বিমান ডুবতে থাকা কাঠের নৌকাটি দেখতে পায়। ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে মানবপাচার রোধবিষয়ক ইউরোপীয় বাহিনীর মুখপাত্র রেনজিস সোনিনো বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, নৌকাডুবিতে ২০ থেকে ৩০ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এক টুইটার বার্তায় ইতালির সংবাদ সংস্থা আনসা জানায়, গত বৃহস্পতিবার শুধু দেশটির কোস্টগার্ডই দুই হাজার ৬০০ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে।
এর আগে গত বুধবার বড় নৌকাডুবির ঘটনায় ৫৬২ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে ইতালির নৌবাহিনী। ওই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঘটনার পরপরই পাঁচজনের মৃত্যুর খবর জানা যায়। তবে অভিবাসনবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা আইওএম জানায়, জাহাজ উল্টে যাওয়ার এর নিচে শতাধিক মানুষ আটকে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গত বুধবার উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের ইতালির সিসিলি দ্বীপে নেওয়া হয়েছে। আইওএমের বিশেষ দল তাঁদের সাক্ষাৎকার নেয়। সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, উদ্ধার হওয়া ৫৬২ জনের অধিকাংশ মরক্কোর নাগরিক। তবে অনেক তিউনিসীয় ও সিরিয়ার নাগরিকও আছেন।
বিবিসি জানায়, শুধু এ সপ্তাহেই ছয় হাজারের মতো অভিবাসনপ্রত্যাশী ঝুঁকিপূর্ণ নৌকায় ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করেছে। এসব অভিবাসী তুরস্ক থেকে গ্রিসের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে জার্মানির এক পরিকল্পনায় নিরাপদ দেশ হিসেবে আফ্রিকার মরক্কো, তিউনিসিয়া ও আলজেরিয়ার কথা বলা হয়েছিল।