ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে ৭ শতাধিক মৃত্যুর শঙ্কা
ভূমধ্যসাগরে গত কয়েকদিনে ৭ শতাধিক শরণার্থীর প্রাণহানি হয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর। সংস্থাটির বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, গত তিনদিনে তিনটি নৌযান উল্টে বিপুল প্রাণহানি ঘটেছে।
ইউএনএইচসিআরের মুখপাত্র কার্লোটা সামি বলেন, শরণার্থী নিয়ে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান সংকটের মধ্যে এক সপ্তাহে এটিই সবেচেয়ে বেশি প্রাণহানি।
এদিকে ফ্রান্সভিত্তিক আন্তর্জাতিক দাতব্য চিকিৎসা সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (এমএসএফ) বলছে, গত সপ্তাহে জাহাজডুবির ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা ৯০০ ছাড়িয়েছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, গত বুধবার স্থানীয় সময় সকালে লিবিয়া থেকে ইউরোপে ঢোকার পথে পাচারকারীদের একটি কাঠের নৌকা ডুবে যাওয়ার ঘটনায় এখন পর্যন্ত একশর বেশি শরণার্থী নিখোঁজ রয়েছে। এরপর গত বৃহস্পতিবার সকালে ৬৭০ শরণার্থী নিয়ে একটি কাঠের বড় নৌকা ডুবে যায়। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে প্রায় সাড়ে পাঁচশ জনেরও বেশি।
এরপরে তৃতীয় নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে গত শুক্রবার রাতে। এ ঘটনায় ১৩৫ অভিবাসনপ্রত্যাশী বেঁচে গেলেও ৪৫ জনের মরদেহ ইতালি এবং স্পেনের জলসীমা থেকে উদ্ধার করা হয়।
গত সপ্তাহে উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের ইতালির দুটি বন্দর টারান্টো ও পোজ্জাল্লোতে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ভূমধ্যসাগরে নৌকা বা জাহাজ থেকে উদ্ধার হয়েছে, এমন মানুষের সংখ্যা ১৩ হাজারে পৌঁছেছে।
ইউএনএইচসিআর শংকা প্রকাশ করে বলেছে, তিনটি নৌকাডুবির ঘটনায় নিহতের সংখ্যা সাত শতাধিক ছাড়িয়ে যেতে পারে। তবে শরণার্থীদের দাবি, এখনো নিখোঁজ রয়েছে এক হাজারের বেশি মানুষ।