মারা গেছেন বিশ্বের প্রবীণতম মানুষ
চলে গেলেন পৃথিবীর প্রবীণতম মানুষটি। আজ সকালে জাপানের ওসাকায় বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক নারী মিসাও ওকায়ার মৃত্যু হয়।
১৮ শতকের শেষভাগে ১৮৯৮ সালের ৫ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন ওকায়া। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরুর সময় তিনি ছিলেন কিশোরী। আর চাঁদে মানুষের পদাপর্ণের সময় তাঁর বয়স ছিল ৭০ বছর। ২০১২ সালে ১১৪ বছরে পা রাখার পর বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি হিসেবে তিনি গিনেস রেকর্ডবুকে স্থান পান।
মাত্র গত মাসেই ১১৭তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করেছিলেন প্রবীণ এ মানুষটি। সেই উৎসবে উপস্থিত ছিলেন ১৯ শতকে জন্ম নেওয়া মুষ্টিমেয় কিছু মানুষও। জন্মদিনের অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, বেঁচে থাকার ইচ্ছা কখনই হারাননি তিনি। জানিয়েছিলেন আপাত দীর্ঘ জীবনটি কখনোই দীর্ঘ মনে হয়নি তাঁর কাছে। বরং বেশ দ্রুতই যেন কেটে গেছে এতগুলো বছর।
জাপানের ইউকিউ শহরে ১৯১৯ সালে বিয়ে হয় মিসাও ওকায়ার। দুই কন্যা ও এক পুত্র ছিল এই দম্পতির সংসারে। ১৯৩১ সালে স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে এই পরিবারের প্রধান ছিলেন মিসাও। তাঁর নাতি-নাতনির সংখ্যা চারজন। এ ছাড়া নাতি-নাতনিদের ঘরেও আছে আরো ছয় সন্তান।
তিন বছর ধরেই স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণে জাপানের ওসাকা নার্সিংহোমই ছিল তাঁর স্থায়ী ঠিকানা। সম্প্রতি তাঁর শারীরিক অবস্থা কিছুটা খারাপের দিকে গিয়েছিল বলে জানিয়েছিল জাপানের সংবাদমাধ্যমগুলো। তবে তিনি ঠিকভাবে খাদ্য গ্রহণ করছিলেন। আজ সকালে ওসাকা নার্সিংহোমই জানায় তাঁর মৃত্যুর খবর। ঘুমের মধ্যেই মারা গেছেন তিনি।
জাপানে দীর্ঘজীবী লোকের সংখ্যা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। দেশটিতে নারীদের সম্ভাব্য আয়ুষ্কাল ৮৬.৬১ বছর। পুরুষদের বেলায় এটি ৮০.২১ বছর।
ওকায়ার মৃত্যুর পর গিনেস রেকর্ডবুক অনুযায়ী বিশ্বে বর্তমানে সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রের গারটুড ওয়েভার। তাঁর বয়স ১১৬ বছর।