এবার বুলগেরিয়ায় নেকাব পরা নিষিদ্ধ
ফ্রান্স ও নেদারল্যান্ডসের পর এবার জনসম্মুখে নেকাব পরা নিষিদ্ধ করল বুলগেরিয়া সরকার।
দেশটির পার্লামেন্টে এ সংক্রান্ত একটি বিল অনুমোদিত হয়েছে। ১০৮ জন সংসদ সদস্য নেকাব নিষিদ্ধের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। আর এর বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন মাত্র আট জন সংসদ সদস্য।
ডেইলি মেইল জানিয়েছে, অফিস, স্কুল ও জনসম্মুখে মুখমণ্ডল পুরোপুরি বা আংশিক ঢেকে রাখার ওপর এই নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব করে জাতীয়তাবাদী নির্বাচনী জোট পেট্রিওটিক ফ্রন্ট (পিএফ)। এই প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতেই বুলগেরিয়ায় নেকাব ও বোরকা নিষিদ্ধ হলো। সব প্রাতিষ্ঠানিক কার্যালয় এবং প্রশাসনিক, শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের মতো জনসম্মুখে এই আইন প্রয়োগ হবে।
দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তর দল মুভমেন্ট ফর রাইটস ও ফ্রিডম (ডিপিএস)এই বিলের সমালোচনা করেছে। ডিপিএস ভেঙে গঠিত ডিওএসটির প্রধান লিওতভি মেসতান এই বিলের বিরোধিতা করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, এর মাধ্যমে কোনো গুরুতর সমস্যার সমাধান হবে না। এটি একটি ‘রাজনৈতিক চুক্তির’ ফসল।
এ বছরের শুরুর দিকে ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী ম্যানুয়েল ভলস বিশ্ববিদ্যালয়ে মুসলিম নারীদের হিজাব নিষিদ্ধের আহ্বান জানান। তাঁর নিজ সরকার থেকেই অনেকে এর বিরোধিতা করেন।
ফ্রান্স এরই মধ্যে স্কুল ও সরকারি অফিসে নেকাব, হিজাব এবং যেকোনো ধরনের ধর্মীয় প্রতীক পরা নিষিদ্ধ করেছে।
গত মে মাসে ডাচ সরকারও স্কুল, হাসপাতাল ও গণপরিবহনে নেকাব পরার ওপর আংশিক নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করেছে। এখানে কেউ এই আইন অমান্য করলে তাঁকে ৩০০ ইউরো পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হচ্ছে।