যুদ্ধাপরাধের দায়ে কঙ্গোর বিদ্রোহী নেতার জেল
যুদ্ধাপরাধ ও যৌন সহিংসতার অভিযোগে ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং বিদ্রোহী নেতা জন পিয়েরে বেম্বারকে ১৮ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।
২০০২ ও ২০০৩ সালে প্রতিবেশী মধ্য আফ্রিকান রিপাবলিকে (সিএআর) মার্চে সংঘটিত অপরাধের অভিযোগে নেদারল্যান্ডসের হেগে অবস্থিত আইসিসিতে তিনি দোষী সাব্যস্ত হন। তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে বলা হয়েছে, বিদ্রোহীদের মানুষ হত্যা ও ধর্ষণ থেকে বিরত রাখতে বেম্বা ব্যর্থ হয়েছিলেন।
তবে বেম্বার পক্ষ সমর্থনকারীরা ইতিমধ্যেই আদালতের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করবে বলে জানিয়েছে।
ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোয় ভয়াবহ গৃহযুদ্ধের সময় বিদ্রোহী গ্রুপ এমএলসির নেতা ছিলেন বেম্বা। ২০০৩ সালে শান্তি চুক্তির পর তিনি ও তাঁর অনুসারীরা অস্ত্র সমর্পণ করেন। সে সময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভাইস প্রেসিডেন্ট হন বেম্বা।
২০০৬ সাল পর্যন্ত কঙ্গোর শাসনক্ষমতায় ছিলেন বেম্বা। ওই বছরই দ্বিতীয় দফার (রান-অফ) প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জোসেফ কাবিলার কাছে হেরে যান। তবে কিনশাসাসহ কঙ্গোর পশ্চিমাঞ্চলে বিপুল ভোট পান তিনি।
রায় পড়ার সময় বিচারক সিলভিয়া স্টেইনার বলেন, মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রে (সিএআর) পাঠানো তাঁর বিদ্রোহী গ্রুপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি বেম্বা। সেখানে তাঁরা হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠনের মতো মর্মান্তিক ঘটনা ঘটিয়েছে।
২০০২ সালে মধ্য আফ্রিকায় এক হাজার বিদ্রোহী যোদ্ধাকে পাঠান বেম্বা। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট অ্যাঙ্গি ফেলিক্স পাতাসেকে সাহায্যের জন্য বেম্বা তাঁর অনুসারীদের দেশটিতে পাঠান।
বেম্বার বিরুদ্ধে দেওয়া রায়ে আইসিসি এই প্রথম ধর্ষণকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে বিবেচনায় নিলেন। এ ছাড়া অন্যদের দ্বারা সংঘটিত অপরাধের দায়ে নির্দেশকারী নেতাকে এই প্রথম সাজা দিলেন আইসিসি।
বেম্বার বিরুদ্ধে ১৮ বছরের জেল হলেও এরইমধ্যে কারাগারে কাটানো আট বছর পূর্ণ সাজার মেয়াদ থেকে বাদ দেওয়া হবে। অর্থাৎ আগামী ১০ বছর কারাগারে থাকতে হবে বেম্বাকে।