বিশেষ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল উত্তর কোরিয়া
ডুবোজাহাজ (সাবমেরিন) থেকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। স্থানীয় সময় আজ শনিবার এই পরীক্ষা চালানো হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। চলতি বছরের এপ্রিলে একই ধরনের পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, স্থানীয় সময় শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উত্তর কোরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শিনপো বন্দরের কাছে সাবমেরিন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র (এসএলবিএম) উৎক্ষেপণ করা হয়। তবে ক্ষেপণাস্ত্রের পরিচিতি এবং পরীক্ষার সফতা ব্যর্থতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে পারেনি দক্ষিণ কোরিয়া। উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকেই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা সম্পর্কে কোনো তথ্য জানানো হয়নি।
এর আগে চলতি বছরের এপ্রিলে একটি এসএলবিএম ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া। ওই ‘পরীক্ষাকে চোখ খুলে দেওয়া সাফল্য’ বলে বর্ণনা করেন উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং-উন। তখন উত্তর কোরীয় নেতা ঘোষণা করেন, তাঁর দেশ দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে হামলা চালানোর সক্ষমতা অর্জন করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া ‘দ্য টার্মিনাল হাই অ্যালটিচিউড অ্যারে ডিফেন্স’ (টিএইচএএডি) নামক বিতর্কিত ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা স্থাপনে একমত হওয়ার ঘোষণার মাত্র একদিন পরই উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল। অবশ্য উত্তর কোরিয়ার দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে টিএইচএএডি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা স্থাপনের আলোচনা শুরু করে দুই দেশ। টিএইচএএডি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত এবং ধ্বংস করতে পারবে। তবে চীন যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া পরিকল্পনার বিরোধিতা করে জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটির রাডারের কারণে এ অঞ্চলের দেশগুলোর নিরাপত্তার বিষয়গুলো হুমকির মুখে পড়বে।
চলতি বছরই আনবিক বোমাসহ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির ওপর কয়েক দফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে জাতিসংঘ। আর সম্প্রতি উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং-উন এবং দেশটির অপর ১০ শীর্ষ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।