হিন্দু শরণার্থী পুনর্বাসনে আইন করছে ভারত
বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে যাওয়া হিন্দু শরণার্থীদের পুনর্বাসনে একটি আইন করতে যাচ্ছে ভারত। শিগগিরই এ আইন পাস হতে পারে। এর মাধ্যমে ওই শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।
আজ সোমবার ভারতের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের বাসভবনে এক বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ওই বৈঠকে স্থলসীমান্ত বিল নিয়েও আলোচনা হয়।
বৈঠকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ জেটলি, সুষমা স্বরাজ, নিতীন গড়কড়ি, রবিশঙ্কর প্রাসাদ ও ভেঙ্কাইয়া নাইডু উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া ছিলেন বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ, সদস্য রামলাল ও রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) সদস্য কৃষ্ণ গোপাল।
কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, আরএসএসের দাবি অনুযায়ী, বৈঠকে হিন্দু শরণার্থীদের পুনর্বাসনে আইনের বিষয়টি উত্থাপন হয়। রাজনাথের ঘনিষ্ঠ আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, ‘বিষয়টি (হিন্দু শরণার্থীদের পুনর্বাসন) সংঘ পরিবার (হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠনগুলোর জোট) ও বিজেপির বিবেচনায় ছিল। বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। শিগগিরই এ নিয়ে একটি সিদ্ধান্ত হবে।’
বিভিন্ন কারণে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে এক লাখের বেশি হিন্দু ও শিখ শরণার্থী ভারতে যায়। এ ছাড়া প্রতিবছরই এ দুই জনগোষ্ঠীর লোকজন ভারত যাচ্ছে। স্বল্পমেয়াদি ভিসা দিয়েই তাঁরা ভারতে বসবাস করছেন। সময়ে সময়ে সেই ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হয়। বিষয়টি সুরাহার জন্য শরণার্থীদের বিভিন্ন সংগঠন কয়েক বছর ধরে তাদের পূর্ণ নাগরিকত্বের দাবি করছিল।
এসব বিষয় আমলে নিয়ে শরণার্থীদের নাগরিকত্বের আবেদনের বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে ভারত সরকার গত বছর একটি টাস্কফোর্স গঠন করে। একই সঙ্গে সরকার নাগরিকত্ব না পাওয়া শরণার্থীদের ভিসার মেয়াদ ১০ থেকে ১৫ বছর করার প্রতিশ্রুতি দেয়।