ভূমধ্যসাগরে ডুবে যাওয়া নৌযানে বাংলাদেশি ছিলেন
ইতালির দ্বীপাঞ্চল ল্যাম্পেদুসার ১২০ মাইল দক্ষিণে লিবিয়ার জলসীমায় ডুবে যাওয়া নৌযানটিতে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি ছিলেন। এক বাংলাদেশি অভিবাসী ইতালির আইনজীবীদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
ওই বাংলাদেশি জানান, নৌযানে অনেক বাংলাদেশি ছিলেন। পাচারকারী চক্র তাঁদের নিয়ে ইতালির উদ্দেশে রওনা হয়েছিল।
বিবিসি ও ওয়াশিংটন পোস্টের খবরে বলা হয়, স্থানীয় সময় শনিবার মধ্যরাতে ৫০০ থেকে ৭০০ অভিবাসী নিয়ে নৌযানটি ডুবে যায়। এরই মধ্যে ২৮ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ২৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে ইতালি ও মাল্টার ২০টির মতো সামরিক জাহাজ ও মাছ ধরার নৌকা উদ্ধার অভিযানে যোগ দিয়েছে।
urgentPhoto
নৌডুবির ঘটনাকে ‘মহামারী’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন মাল্টার প্রধানমন্ত্রী জোসেফ মাসকাট। তিনি বিবিসিকে বলেন, যদি ইউরোপ ও বিশ্বসম্প্রদায় এ বিষয়গুলো দেখেও না দেখার ভান করে, তাহলে বিভিন্ন সময়ে সংঘটিত গণহত্যার বিষয়ে নিষ্ক্রিয়তার পর ইউরোপকে যে দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখা হয়েছিল, এখনো সেভাবেই দেখা হবে।
নৌডুবির বিষয়টি লুক্সেমবার্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পূর্বনির্ধারিত বৈঠকে আলোচিত হবে। এ বিষয়ে একটি সংকটকালীন সম্মেলনেরও আয়োজনের চিন্তা করা হচ্ছে। এতে সদস্যভুক্ত ২৮টি দেশের পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা উপস্থিত থাকবেন। তবে এ সম্মেলন কখন হবে, তা জানানো হয়নি।
চলতি বছর ভূমধ্যসাগর অতিক্রম করার সময় কমপক্ষে ৯০০ অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে। গত সপ্তাহে বিপদে পড়া কয়েকটি জাহাজ থেকে ইতালির কোস্টগার্ড ১০ হাজার অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে।