সমকামী স্বামীর নির্যাতন, নারীর আত্মহত্যা
সমকামী স্বামীর অত্যাচার-নির্যাতনে ভারতের নয়াদিল্লিতে এক নারী চিকিৎসক আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এনডিটিভি জানিয়েছে, অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেসের (এআইআইএমএস) ওই চিকিৎসক আত্মহত্যার কারণ একটি নোটে বিস্তারিত লিখে গেছেন। এ ঘটনায় তাঁর স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনিও একজন চিকিৎসক।
এনডিটিভি আরো নিয়েছে, প্রিয়া বেদি নামের ওই চিকিৎসকের মরদেহ মধ্য দিল্লির পাহাড়গঞ্জের একটি হোটেল থেকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় তাঁর কব্জির রগ কাটা অবস্থায় পাওয়া যায়।
নয়াদিল্লির পুলিশ জানিয়েছে, ৩১ বছর বয়সী ওই নারী আত্মহত্যার আগে একটি নোটে লেখেন, বিয়ের পরপরই তিনি বুঝতে পারেন যে তাঁর স্বামী কমল বেদি সমকামী। এর পরও বিষয়টি মেনে নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর (কমল) নির্যাতনে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন।
পুলিশ আরো জানায়, স্বামীর সঙ্গে ঝগড়ার পরই প্রিয়া হোটেলে উঠেছিলেন। গত শনিবার কমল বেদি তাঁর স্ত্রীর নিখোঁজের বিষয়ে পুলিশকে জানান। এর ভিত্তিতে পুলিশ মধ্য দিল্লির কয়েকটি হোটেলে তল্লাশি চালিয়ে প্রিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে।
স্নায়ুবৈকল্যের চিকিৎসক (অ্যানেসথেটিস্ট) প্রিয়া পাঁচ বছর আগে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ কমলকে বিয়ে করেন। তাঁরা দুজনই দক্ষিণ দিল্লিতে এআইআইএমএসের কোয়ার্টারে থাকতেন।
আত্মহত্যার নোটে প্রিয়া উল্লেখ করেন, যৌনাচার নিয়ে তাঁর সঙ্গে মিথ্যাচার করেছেন কমল। পরে তিনি যৌতুকের জন্য তাঁকে নিপীড়ন করেন।
গত শনিবার বিকেলে ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে ওই নারী বলেন, ‘যৌনাচার বিষয়ে জানা সত্ত্বেও আমি তোমাকে গ্রহণ করেছি এবং তোমার সঙ্গে থাকতে চেয়েছি। কারণ, আমি তোমাকে ভালোবেসেছি। কিন্তু এর মূল্য কোনোদিনই তুমি বোঝনি। ড. কমল বেদি, তুমি আমার জীবনে একজন অপরাধী। কমলের পরিবার নির্দোষ। কিন্তু তুমি একটা শয়তান।’
ফেসবুকে দেওয়া প্রিয়ার ওই স্ট্যাটাস, আত্মহত্যা নোট ও তাঁর মা-বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ৩৪ বছর বয়সী কমল বেদিকে গতকাল রোববার গ্রেপ্তার করে। তাঁর বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা ও যৌতুক আইনে মামলা করা হয়েছে।