মুরসির ২০ বছরের কারাদণ্ড
মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মুরসিকে ২০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। মুসলিম ব্রাদারহুডের আরো ১২ সদস্যকেও একই দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
মুরসির শাসনামলে বিক্ষোভকারীদের ওপর নির্যাতন ও গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়ার দায়ে আজ মঙ্গলবার এই কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি হত্যার অভিযোগ থেকে রেহাই পেয়েছেন।
তবে মুরসিকে নির্দোষ দাবি করে তাঁর আইনজীবীরা বলেছেন, তাঁরা এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।
ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর এবং বিচার শুরুর পর এই প্রথমবারের মতো তাঁর বিরুদ্ধে এ ধরনের রায় এলো। ২০১৩ সালে গণবিক্ষোভের মুখে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হন মুরসি। এরপর কর্তৃপক্ষ মুসলিম ব্রাদারহুডকে নিষিদ্ধ করে এবং তার হাজার হাজার সমর্থককে গ্রেপ্তার করে।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, মুরসি বিক্ষোভকারীদের হত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার গুরুত্বর অভিযোগ থেকে রেহাই পাওয়ায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ থেকে রক্ষা পেয়েছেন।
২০১২ সালের ডিসেম্বরে প্রেসিডেন্ট ভবনের বাইরে সংঘর্ষের সময় এক সাংবাদিক ও বিক্ষোভকারীদের হত্যায় সমর্থকদের প্ররোচিত করার অভিযোগ থেকে রেহাই পেয়েছেন মুরসি। প্রেসিডেন্ট ভবনের বাইরে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য মুরসি পুলিশকে নির্দেশ দেন। কিন্তু পুলিশ তা প্রত্যাখ্যান করলে মুসলিম ব্রাদারহুডের সমর্থকরা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হন। এতে ১১ জন নিহত হন। নিহতদের বেশির ভাগই ব্রাদারহুডের সমর্থক। মুরসি মিসরে প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ছিলেন।