পাকিস্তানের হাসপাতালে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭০
পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ বেলুচিস্তানে একটি হাসপাতালে বোমা বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭০ জনে দাঁড়িয়েছে। এতে আহত হয়েছেন অনেকে। গতকাল সোমবার প্রাদেশিক রাজধানী কোয়েটায় এ ঘটনা ঘটে।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই আইনজীবী ও সাংবাদিক। বেলুচিস্তান বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট বিলাল আনওয়ার কাসিকে হত্যার প্রতিবাদ জানাতে তাঁরা সেখানে জড়ো হয়েছিলেন।
বেলুচিস্তান প্রদেশের জ্যেষ্ঠ প্রশাসক আকবার হারিফাল পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনকে বলেন, গতকাল সোমবার সকালে পৃথক এক ঘটনায় গুলিতে নিহত হন বেলুচিস্তান বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট। এরপর হাসপাতালে জড়ো হন অনেক আইনজীবী ও সাংবাদিক। বিলাল আনওয়ার কাসিকে জরুরি বিভাগে রাখা হয়েছিল। জরুরি বিভাগের ফটকেই অবস্থান করছিলেন আইনজীবী ও সাংবাদিকরা। সেখানেই বোমা বিস্ফোরিত হয়।
ফরিদুল্লাহ নামের এক সাংবাদিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, আকবর কাসির মরদেহের সঙ্গে ৫০ জনের বেশি মানুষ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে গিয়েছিলেন।
পাকিস্তানের জিয়ো টিভি জানায়, গতকাল সোমবার সকালে কোয়েটার মূল আদালত ভবনের কাছে বন্দুকধারীর গুলিত নিহত হন বিলাল আনওয়ার কাসি। পরে তাঁর মরদেহ কয়েটার সিভিল হাসপাতালে নেওয়া হয়।
বেলুচিস্তান প্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সরফরাজ বুগতি ডনকে বলেন, একজন আত্মঘাতী বোমা হামলা চালিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বেলুচিস্তানের পুলিশও একই তথ্য জানিয়েছে।
বিবিসি জানায়, হামলার পরপরই গুলির শব্দ পাওয়া যায়।
পাকিস্তানের টেলিভিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, বোমা বিস্ফোরণের পরপরই হাসপাতালে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। শাহজাদ খান নামের আজ টিভির এক ক্যামেরাম্যান বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন। বিস্ফোরণে ডনের ফটোসাংবাদিকও গুরুতর আহত হয়েছেন।
ঘটনার পরপরই পুলিশ হাসপাতালসহ পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে। কোয়েটার সব হাসপাতালে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। বোমা বিস্ফোরণে আহত অনেককে বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নাওয়াজ শরিফ কোয়েটার হাসপাতালে হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, বেলুচিস্তান প্রদেশের কাউকে শান্তি বিঘ্নিত করতে দেওয়া হবে না।