পশ্চিমবঙ্গে ২৫ হাজার রুপিতে মেয়েশিশু বিক্রি
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পাঁচদিনের এক মেয়েশিশুকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। শিশুটি জন্মের একদিন পরই মাত্র ২৫ হাজার রুপির জন্য বিক্রি করে দিয়েছিল তার বাবা।
আজ বৃহস্পতিবার এনডিটিভির এক খবরে বলা হয়, গত শনিবার সালমা বেগম (২২) জলপাইগুড়ির ধুপগুড়ি শহরের ময়নাগুড়ি হাসপাতালে শিশুটির জন্ম দেন। পরদিন তাঁর স্বামী বুলবুল হক পার্শ্ববর্তী কুচবিহার জেলার এক স্কুলশিক্ষকের কাছে শিশুটিকে বিক্রি করে দেন। সালমা বাধা দিতে গেলে তার স্বামী তাঁকে ও তাঁর ছেলেকে হত্যার হুমকি দেন।
কিন্তু সন্তানকে এভাবে বিক্রি করার বিষয়টি সহ্য করতে না পেরে গত মঙ্গলবার সকালে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন সালমা। একদিন পর সালমার অভিযোগ অনুযায়ী এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত মধ্যস্থতাকারী অতুল বসাকের সহায়তায় পুলিশ কুচবিহারের মাথাভাঙ্গা এলাকায় শিশুটিকে খুঁজে পায়।
‘আমি টাকা চাই না, কিন্তু আমার স্বামী বলছিলেন আমরা অনেক দরিদ্র, এ বাচ্চাকে আমরা খেতে দিতে পারব না। বড় হলে তাকে বিয়ে দেওয়ারও কোনো টাকা নেই আমাদের। এ বিষয়ে কোথাও অভিযোগ করলে আমাকে হত্যা করা হবে বলেও হুমকি দেন তিনি। আমি আমার সন্তানকে চাই।’ কাঁদতে কাঁদতে কথাগুলো এনডিটিভিকে বলছিলেন সালমা।
ঘটনার পর থেকে শিশুটির বাবা ও ওই স্কুলশিক্ষক পার্থ বিশ্বাস পলাতক আছেন। বাবা ও মধ্যস্থতাকারী অতুল বসাক একসঙ্গে জুয়া খেলতেন।
এ বিষয়ে ধুপগুড়ি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাম বর্মণ বলেন, ‘অতুল বসাক স্থানীয় একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে তাঁর স্বামীকে নগদ টাকার প্রলোভন দেখিয়ে শিশুটিকে বেচে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন মা সালমা বেগম।’