সাবমেরিন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল উ. কোরিয়া
সাবমেরিন (ডুবোজাহাজ) থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। আজ বুধবার ভোরে দেশটির পূর্ব উপকূল থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়।
দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এমন দাবি করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানান, উত্তর কোরিয়ার পূর্ব উপকূলীয় বন্দরনগরী সিনপো থেকে কেএন-১১ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় ৫০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে জাপান সাগরে পড়ে। সম্প্রতি চালানো ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার মধ্যে এটিই সবচেয়ে সফল।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বলেন, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রটি জাপানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সীমার মধ্যে পড়েছে। এটি ‘ক্ষমার অযোগ্য বেপরোয়া কার্যক্রম’।
এমন সময়ে উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল যখন যুক্তরাষ্ট্র ও কোরিয়ার মধ্যে ‘উলচি ফ্রিডম’ নামে যৌথ সামরিক মহড়া চলছে। এই মহড়ায় দুই দেশের ৮০ হাজার সেনা অংশ নিয়েছে।
একই সময়ে টোকিওতে চলছে জাপান, চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক।
যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়ার ঘোর বিরোধী উত্তর কোরিয়া। দেশটি এই মহড়াকে হামলার প্রস্তুতি হিসেবে দেখে।
সম্প্রতি উত্তর কোরিয়া সতর্ক করে জানায়, কোরীয় উপদ্বীপকে যুদ্ধের দিকে ঢেলে দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া।
সামরিক মহড়া নিয়ে উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে উত্তর কোরিয়া জবাব দিয়েছে বলে ধারণা করছে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী।
সাবমেরিন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। কারণ সাবমেরিনকে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাওয়া সম্ভব এবং ক্ষেপণাস্ত্র চালানোর পূর্বপ্রস্তুতি আগে থেকে বোঝার উপায় নেই।
ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে উত্তর কোরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে জাতিসংঘ। তবে নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই সাম্প্রতিক মাসগুলোতে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। ধারণা করা হয়, উত্তর কোরিয়া তাদের পঞ্চম পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর শেষ পর্যায়ে আছে।
গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়া একটি বিতর্কিত ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা স্থাপনে একমত হয়। ওই সময় হুমকি দেয় এবং ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া।
এ পর্যন্ত উত্তর কোরিয়া চারটি পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা চালিয়েছে। দেশটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, তারা ক্ষেপণাস্ত্রে পারমাণবিক বোমা সংযোজনের সক্ষমতা অর্জন করেছে। তবে দেশটি এ সক্ষমতা অর্জন করতে পারেনি বলে মত বিশ্লেষকদের।