দিল্লির আইনমন্ত্রীর জালিয়াতি
খোদ আইনমন্ত্রী যদি আইনি মারপ্যাঁচে পড়েন, তাঁকে তো দুর্দশাই বলতে হয়। তাও আবার অভিযোগ রীতিমতো জালিয়াতির! দিল্লির আম আদমি পার্টির আইনমন্ত্রী জিতেন্দর সিং তোমর পড়েছেন এই রকমই এক ঝামেলায়, জানা গেল এনডিটিভির খবরে। গেল সোমবার উচ্চ আদালতে অভিযোগ ওঠানো হয় যে, আইনমন্ত্রীর আইন বিষয়ে ডিগ্রি আছে সেটার কোনো ধরনের প্রমাণ নেই।
এমন পরিস্থিতিতে মন্ত্রীর পদত্যাগের বিষয়টি সামনে চলে এসেছে। কিন্তু তাতে একচুল টলেননি জিতেন্দর সিং। তিনি বিষয়টি উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘মিথ্যে দিয়ে সাজানো একটি বানোয়াট মামলা কখনোই পদত্যাগের কারণ হতে পারে না। আমার ডিগ্রি পুরো ১০০ ভাগ খাঁটি, আর এটা প্রমাণ করার জন্য সব ধরনের কাগজপত্রও আছে আমার।’
গতকাল বিহারের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তোলা হয়। এতে জানানো হয়, জিতেন্দরের সার্টিফিকেট ‘জাল’ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের রেকর্ডে আদৌ এর কোনো অস্তিত্ব নেই। তিলক মাঝি ভাগলপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, জিতেন্দরের সার্টিফিকেটে যে যে ক্রমিক নম্বর রয়েছে, তা অন্য একজন শিক্ষার্থীর, এমনকি তাঁর পড়ালেখার বিভাগটি পর্যন্ত ভিন্ন!
এমন অভিযোগের ভিত্তিতে নালিশের পর আদালত জিতেন্দর সিংকে আগস্ট মাসের ২০ তারিখের মধ্যে এর জবাব দেওয়ার জন্য সময় বেঁধে দিয়েছেন। অভিযোগের বক্তব্য, ‘বানোয়াট এবং নকল’ ডিগ্রি ব্যবহার করে আইনজীবী হয়েছেন জিতেন্দর।
এমন অভিযোগে কি প্রতিপক্ষ ছেড়ে কথা বলবে? কংগ্রেস নেতা অজয় মাকসেন বললেন, ‘আমরা চাই আইনমন্ত্রীকে বরখাস্ত করা হোক।’
জিতেন্দর সিং তোমরের বয়স ৪৮। কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টির এই নেতা জীবনে প্রথমবারের মতো মন্ত্রী হয়েছেন। মজার বিষয়, কেজরিওয়ালের দলে যোগ দেওয়ার প্রথম দিন থেকেই ‘পড়ালেখার যোগ্যতা’ নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছেন তিনি!
জিতেন্দরকে না সরানো হলে এর প্রতিবাদে ‘বড়’ পদক্ষেপ নেবেন বলে হুমকি দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা অজয় মাকসেন। তিনি বলেন, ‘অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গোচরে আনা হয়েছে ব্যাপারটি। তিনি যদি এ বিষয়ে আগামীকালের মধ্যে কোনো পদক্ষেপ না নেন, তাহলে দিল্লি সচিবালয়ের বাইরে আমরা বড় ধরনের পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হব।’
আম আদমি পার্টির আগেরবারের আইনমন্ত্রী সোমনাথ ভারতি গত বছর অকারণে দিল্লির দক্ষিণাঞ্চলের এক কলোনিতে অভিযান চালানোর জন্য কঠোরভাবে তিরস্কৃত হন।