নেপালের ধ্বংসস্তূপ থেকে ৫ দিন পর কিশোর উদ্ধার
নেপালে ভূমিকম্পে ধসে পড়ার পাঁচদিন পর একটি ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে এক কিশোরকে উদ্ধার করা হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া কিশোরের নাম পেমা লামা। আজ বৃহস্পতিবার তাকে উদ্ধার করা হয়।
দেশটির পুলিশ বাহিনীর মুখপাত্র কমল সিং বাম বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘হিলটন গেস্টহাউস নামের একটি লজ থেকে ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরকে উদ্ধার করা হয়। আমরা আরো বিস্তারিত সংবাদের জন্য অপেক্ষা করছি।’
গত মঙ্গলবার নেপাল ও ফ্রান্সের উদ্ধারকারীরা ২৮ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে উদ্ধারের পর আজ হিমালয় রাষ্ট্রটিতে অলৌকিকভাবে এই কিশোরকে উদ্ধার করা হলো। পেমা লামা নামের ওই কিশোরকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।
গত ৮০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে নেপালের বহু সম্প্রদায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমন অনেক দুর্গম জায়গা আছে, যেখানে এখনো উদ্ধারকর্মীরা পৌঁছাতেই পারেননি। ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বেশ কিছু গ্রামে এখনো ত্রাণসহায়তাও পৌঁছায়নি। এতে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে বাড়ছে হতাশা। দেওপুর শিপাঘাট গ্রামের বাহাদুর শ্রেষ্ঠ নামের এক বাসিন্দা এএফপিকে বলেন, ‘যদি সরকার বা অন্য কোনো সংস্থা থেকে সাহায্য না আসে, তাহলে আমরা মারা যাব। আমরা খাদ্যের অভাবে মারা যাব। আর যদি কলেরা ও ডায়রিয়ার মতো রোগগুলো মহামারী আকারে দেখা দেয়, তাহলেও আমরা মারা পড়ব।’
কিছু বিচ্ছিন্ন জনপদে হেলিকপ্টারে করে সহায়তা দিতে যাওয়া কর্মীরা গ্রামবাসীর জনরোষের শিকার হন। এ ছাড়া সাঙ্গাচক গ্রামের মানুষ মূল সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে এবং বিভিন্ন স্থানে চাল ও ত্রাণ নিয়ে যাওয়া ট্রাক থামিয়ে সেগুলো লুট করে নেয়। নেপালের বিভিন্ন এলাকায় এ রকম ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর দেখা মিলছে। কাঠমান্ডুতেই বিক্ষুব্ধ জনগণকে শান্ত করতে দাঙ্গা পুলিশকে মাঠে নামতে হয়েছে।
গত শনিবার নেপালে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আহত হয়েছেন আট হাজারের বেশি মানুষ। তাঁদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসকরা।