তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে উত্তর কোরিয়া
উত্তর কোরিয়া তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। স্থানীয় সময় সোমবার দেশটির উত্তর উপকূল থেকে সাগর লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো নিক্ষেপ করা হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা দেশটির ইয়নহপ সংবাদ সংস্থাকে জানান, দক্ষিণ কোরিয়ার হুয়াংজু প্রদেশের উপকূল থেকে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো নিক্ষেপ করা হয়। তবে ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর ধরন এবং অতিক্রান্ত দূরত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানায়নি দক্ষিণ কোরিয়া।
উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের ঘটনা এমন সময়ে ঘটল যখন পাশের দেশ চীনে চলছে জি-২০ সম্মেলন, যেখানে যোগ দিয়েছেন বিশ্বনেতারা।
সম্প্রতি বিতর্কিত একটি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা স্থাপনে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার একমত হওয়ার পর থেকেই চটেছেন উত্তর কোরিয়ার নেতারা। ওই খবরের পরের দিনই ডুবোজাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া। তবে দক্ষিণ কোরিয়া ওই পরীক্ষাকে ব্যর্থ দাবি করে। পরে আরো কয়েকটি পরীক্ষা চালায় তারা। সর্বশেষ আজকের তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ।
জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া ‘দ্য টার্মিনাল হাই অ্যালটিচিউড অ্যারে ডিফেন্স’ (টিএইচএএডি) নামক বিতর্কিত ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা স্থাপনে একমত হওয়ার ঘোষণা দেয়। উত্তর কোরিয়ার দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে টিএইচএএডি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা স্থাপনের আলোচনা শুরু করে দুই দেশ। টিএইচএএডি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত এবং ধ্বংস করতে পারবে। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া পরিকল্পনার বিরোধিতা করে চীন জানায়, ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটি রাডারের কারণে এ অঞ্চলের দেশগুলোর নিরাপত্তার বিষয়গুলো হুমকির মুখে পড়বে।
চলতি বছরই আণবিক বোমাসহ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির ওপর কয়েক দফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে জাতিসংঘ। সম্প্রতি উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং-উন এবং দেশটির অপর ১০ শীর্ষ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।