কুয়েতে গৃহকর্মী নিয়োগে আবার নিষেধাজ্ঞা
এক মাসের ব্যবধানে কুয়েতে আবার বাংলাদেশি গৃহকর্মী নিয়োগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হয়েছে। গত সোমবার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম কুয়েত টাইমসে এমন খবর প্রকাশিত হয়েছে।
কুয়েতে মাসখানেক আগেও গৃহকর্মী নিয়োগের নিষেধাজ্ঞা ছিল। পরে শর্তসাপেক্ষে গৃহকর্মী নেওয়ার প্রক্রিয়া চালু হয়েছিল। সোমবার খবরের মাধ্যমে এটি পুনরায় আরোপিত হলো।
কুয়েত টাইমস জানায়, দেশটির নাগরিকত্ব এবং পাসপোর্টবিষয়ক সহকারী সচিব শেখ মাজান আল জাররাহ এক পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে গত সোমবার বাংলাদেশি গৃহকর্মী নেওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার কথা বলেন।
উল্লেখ্য, পরিসংখ্যানে দেখানো হয়, কুয়েতে বাংলাদেশিদের সংখ্যা দুই লাখ ছাড়িয়েছে।
কুয়েত টাইমস জানায়, ভবিষ্যতে শেখ মাজান বাংলাদেশি গৃহকর্মীদের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবেন কি না অথবা বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়ার ওপর আরো কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপিত হবে কি না-তা স্পষ্ট নয়।
এক মাস আগে গৃহকর্মী নিয়োগের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হলেও কুয়েতি বাড়ির মালিককে কিছু নির্দিষ্ট নিয়মে বাংলাদেশি গৃহকর্মী নিয়োগ দিতে হতো।
এ বিষয়ে কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর আবদুল লতিফ খান বলেন, সব কুয়েতি নাগরিকের জন্য একজন করে বাংলাদেশি গৃহকর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া কিছুদিন ধরে স্বাভাবিক ছিল, যা আর থাকছে না। তবে আগেই মতোই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনুমতি সাপেক্ষে কুয়েতি নাগরিকরা শ্রমিক নিতে পারবে।
নিষেধাজ্ঞার কারণ জানতে চাইলে শ্রম কাউন্সিলর কুয়েতে বাংলাদেশি গৃহকর্মী কোটার পূর্ণতা এবং কিছু ব্যক্তি মালিকের যোগসাজশে গৃহকর্মীর ভিসা নিয়ে বাইরের কাজ করাকে দায়ী করেন।
শ্রম কাউন্সিলর লতিফ খান আরো বলেন, এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় কোনো কোম্পানির শ্রমিক নিয়োগে বাধা নেই। কুয়েতে যাওয়ার আগে শ্রমিকদের ভিসায় কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের সত্যায়িত আছে কি না দেখে নেওয়ার পরামর্শ দেন শ্রম কাউন্সিলর। এতে নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানের কারণে সঠিক সময়ে শ্রমিকটির আকামা (রেসিডেন্ট) না লাগানো, বেতন পরিশোধ না হওয়াসহ যেকোনো সমস্যায়, দূতাবাসের যথাযোগ্য পদক্ষেপ নিতে স্থানীয় আইনে কোনো বাধা থাকবে না।