তবুও থেমে থাকে না জীবন
২৫ এপ্রিল, শনিবার বিয়ের বাঁধনে আবদ্ধ হওয়ার কথা ছিল নেপালি জুটি অনিতা থাপা (২২) ও সাগর কেসির (২৪) । কিন্তু ৭ দশমিক ৮ মাত্রার প্রবল ভূমিকম্পে নেপালের আর সবকিছুর মতোই ভেস্তে গিয়েছিল তাঁদের বিয়েটাও। তবু থেমে থাকে না জীবন। ধ্বংস আর প্রাণহানিকে পেছনে ফেলে ভূমিকম্পের আটদিন পর ঠিকই ছাদনাতলায় বসলেন তাঁরা। আজ রোববার দুপুরে কাঠমান্ডুর মহাদেবীস্থান মন্দিরে বিয়ে হলো নেপালি জুটি অনিতা থাপা ও সাগর কেসির।
বিয়ের আগে এএফপির প্রতিবেদকের কাছে সেদিনের ভয়াল অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করেন সাগর ও তাঁর বাবা যোগীন্দর। শনিবার সকাল থেকেই বিয়ের সাজে সেজেছিল কাঠমান্ডুর উপকণ্ঠে শাক্যলীতে অবস্থিত সাগরদের বাড়ি। কনে অনিতার বাড়ি কাঠমান্ডুতেই। দুপুরে সোয়া ১২টায় ছিল বিয়ের লগ্ন। সেই জন্য সাড়ে ১১টা থেকেই মহাদেবীস্থান মন্দিরে পৌঁছায় বরপক্ষ। এর কিছুক্ষণ পরেই (নেপালের স্থানীয় সময় ১১টা ৪১ মিনিটে) আঘাত হানে ভয়াল ভূমিকম্পটি।
বর সাগরের বাবা যোগীন্দর জানান, ঘটনার সময় তিনি ছিলেন মন্দিরের পাশের রাস্তায়। চোখের সামনে রাস্তার দোকান এবং গাড়িগুলো লাফাচ্ছিল। সাগর ছিলেন মন্দিরের ভেতর। তখনো কনে এসে পৌঁছায়নি। কনেপক্ষের লোকজনই তাঁকে বের করে আনে। ভূমিকম্পে তাঁর এক মামা মারা গেছেন বলেও জানান সাগর।
কনে অনিতা জানালেন, ভূমিকম্পের সময় মহাদেবীস্থান মন্দিরের পাশেই এক আত্মীয়ের বাসায় ছিলেন তিনি। হঠাৎ প্রচণ্ডভাবে চারপাশ দুলে ওঠে। দৌড়ে বেরিয়ে আসেন অনিতারা। তিনি যে বাড়িটিতে ছিলেন, সেই বাড়িতে একজনের প্রাণহানি হয়েছে।
আজ অবশ্য আর কোনো সমস্যা হয়নি। রৌদ্রোজ্জ্বল দিনে সেই মহাদেবীস্থান মন্দিরেই বিয়ে করেন তাঁরা। বিয়ের পর দেশটির প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী ভাইয়ের পিঠে চড়ে বরযাত্রীর বাস পর্যন্ত যান নববিবাহিত দম্পতি।