কনজারভেটিভদের হাতেই থাকছে ব্রিটেন
যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে জয়লাভ করেছে ডেভিড ক্যামেরনের নেতৃত্বে থাকা কনজারভেটিভ পার্টি। নির্বাচনের আগের সব জরিপের ফলকে ভুল প্রমাণিত করে দেশটির ৬৫০টি আসনের মধ্যে ৩৩১টিতে জয় পেয়েছে কনজারভেটিভরা। এর ফলে এককভাবে সরকার গঠনে আর কোনো বাধা রইল না তাঁদের।
স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার রাত ১০টা ৪৪ মিনিটে ৬৫০টি আসনের সবগুলোর ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে কনজারভেটিভরা পেয়েছে ৩৩১, লেবার পার্টি ২৩২, স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি (এসএনপি) ৫৬টি, লিবারেল ডেমোক্রেটসরা আটটি আসন পেয়েছে। যুক্তরাজ্যে এককভাবে সরকার গঠনের জন্য ৩২৬ আসনের প্রয়োজন। কনজারভেটিভরা তার চেয়ে বেশি আসন পেয়েছে।
নির্বাচনের ফল ঘোষণা শুরু হওয়ার আগমুহূর্ত পর্যন্ত বিভিন্ন জরিপে দুই দলের হাড্ডাহাড্ডি ফলের আভাস দেওয়া হয়। তবে গতকাল সকালে বুথফেরত ভোটের ফলাফলে তার কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল না। সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্তও এগিয়ে ছিল লেবার পার্টি। অবশ্য বেলা ১১টা নাগাদ বেশ এগিয়ে যায় কনজারভেটিভরা।
হার নিশ্চিত জেনে লেবার নেতা এড মিলিব্যান্ড নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে এক টুইটার বার্তায় বলেন, হার কঠিন কিন্তু লেবার পার্টি কখনোই এ দেশের মানুষের জন্য কাজ বন্ধ রাখবে না। অপর এক টুইটার বার্তায় তিনি দলের নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানান এবং পরাজয়ের জন্য নিজের দায় স্বীকার করেন।
কনজারভেটিভ নেতা ডেভিড ক্যামেরন এক টুইটার বার্তায় স্ত্রীকে জড়িয়ে ধরে আছেন এমন একটি ছবি দিয়েছেন। একই সঙ্গে ওই টুইটার বর্তায় তিনি বলেন, সবার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য।
নির্বাচনের আগে অনেক অনেক জরিপেই ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল। এড মিলিব্যান্ডের লেবার পার্টি ও ডেভিড ক্যামেরনের কনজারভেটিভ পার্টি দুই দলই জোটের জন্য অন্যান্য ছোট দলগুলোর ওপর নির্ভর করছিল।
গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা) যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। এতে ৬৫০ জন এমপি নির্বাচিত করার লক্ষ্যে দেশটির ৫০ হাজার ভোটকেন্দ্রে পাঁচ কোটি ভোটার ভোট দিয়েছিলেন। হাউস অব কমন্সের এমপিরা ছাড়াও এই ভোটের মাধ্যমে ২৭৯টি আসনে নয় হাজার কাউন্সিলর এবং বেডফোর্ড, কোল্যান্ড, লিচেস্টার, মানসফিল্ড, মিডলসবরো, টোরবেতে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। ডাকযোগেও ভোট দিয়েছেন অনেক ভোটার।এ ছাড়া প্রথমবারের মতো এ নির্বাচনে অনলাইনে ভোট দিয়েছেন যুক্তরাজ্যবাসী।