আবার ভারত-পাকিস্তান গোলাগুলি
কাশ্মীরের সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মধ্যে আবার গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। রোববার মধ্যরাতের পর এই ঘটনা ঘটে। পাকিস্তানের আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের বরাতে (আইএসপিআর) দেশটির সংবাদমাধ্যম ডন অনলাইন এ তথ্য জানায়। তবে এ হামলায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
আইএসপিআরের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ভারতীয় সেনারা মধ্যরাতের পর আজাদ কাশ্মীরের ইফতিখারাবাদ শহরের দিকে বিনা উসকানিতে গুলি করতে থাকে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীও এর উপযুক্ত জবাব দেয়।’
এর আগে গত শনিবার কাশ্মীরের ভিমবার সেক্টরেও গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু ওই হামলায়ও দুই পক্ষের কেউই কোনো হতাহতের দাবি করেনি।
রোববার মধ্যরাতে এই গোলাগুলির ঘণ্টাখানেক আগেই ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের বারমুল্লায় সেনা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ছাউনি লক্ষ্য করে জঙ্গি হামলা হয়। এ হামলায় এক বিএসএফ সদস্য ও দুই হামলাকারী নিহত হয়। আহত হন আরেক বিএসএফ সদস্য।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, রোববার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১০টার দিকে শ্রীনগর থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে উত্তর কাশ্মীরের বারমুল্লা সেনা ছাউনিতে তিন থেকে চার জঙ্গি দুটি দলে বিভক্ত হয়ে হামলা চালায়। এ সময় তারা গ্রেনেড ও বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় এবং গুলিবর্ষণ করে। পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় সেনারাও। এ সময় এক বিএসএফ সদস্য নিহত হন।
দ্য হিন্দু জানিয়েছে, ৪৬ রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের সেনা ছাউনির কাছে একটি পার্কের ভেতর দিয়ে ক্যাম্পে হামলা চালায় জঙ্গিরা। প্রায় দুই ঘণ্টা গোলাগুলির পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে বলে দাবি করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। সেনাসূত্রে প্রকাশিত খবরে পত্রিকাটি আরো জানায়, হামলাকারীরা সেনা ছাউনির ভেতরে ঢুকতে পারেনি।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর এই বারমুল্লা জেলার উরি সেনাঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলায় ১৯ ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছেন। এ হামলার জন্য পাকিস্তানের সন্ত্রাসীদের দায়ী করেছে ভারত। এর প্রতিক্রিয়ায় গত ২৮ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের সীমানার ভেতরে ঢুকে ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ নামে অভিযান চালায় ভারত। এতে বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী হতাহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। তবে এ ধরনের হামলার কথা নাকচ করে দিয়েছে পাকিস্তান।