‘ভারতীয় আগ্রাসন’ প্রতিরোধে পাকিস্তানে সর্বদলীয় ঐক্য
কাশ্মীর ইস্যু ও ‘ভারতীয় আগ্রাসন’ মোকাবিলায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সঙ্গে আছে দেশটির সব রাজনৈতিক দল। নওয়াজ শরিফের সিদ্ধান্তের সঙ্গে দেশটির অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতারা সংহতি প্রকাশ করেছেন।
আজ মঙ্গলবার চলমান পরিস্থিতি নিয়ে পাকিস্তানে সর্বদলীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দেশটির গণমাধ্যম ডন জানিয়েছে, বৈঠকে সভাপতিত্ব করেছেন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ।
বৈঠক শেষে সর্বদলীয় বিবৃতিতে বলা হয়, কাশ্মীরের মানুষের অধিকারের প্রশ্নে পাকিস্তানের সরকার, রাজনৈতিক দল, সামরিক বাহিনী ঐক্যবদ্ধ। কাশ্মীরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ‘নির্যাতনের’ নিন্দা করা হয় ওই বিবৃতিতে। এ ছাড়া সার্কে অংশগ্রহণ না করায় দুঃখপ্রকাশ করা হয়েছে। স্বাধীন-সার্বভৌম পাকিস্তানের অংশ বেলুচিস্তানে ভারতীয় হস্তক্ষেপেরও নিন্দা জানানো হয়।
বৈঠকে উপস্থিত রাজনৈতিক নেতাদের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে ধারণা দেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আইয়াজ আহমেদ চৌধুরী।
বৈঠক শেষে পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান বিলওয়াল ভুট্টো জারদারি বলেছেন, ‘বহু বিষয় নিয়ে আমাদের মতবিভেদ থাকলেও কাশ্মীর ইস্যু ও ভারতীয় আগ্রাসনের বিষয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সঙ্গেই আছি।’
বিলওয়াল বলেন, ‘আমরা সরকারের সঙ্গেই আছি। এ বিষয়ে পিপিপির অবস্থান পরিষ্কার। ঐক্যবদ্ধ পাকিস্তানই কেবল ভারতীয় আগ্রাসন রুখতে পারে। কাশ্মীর ইস্যুতে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি, এটা আমাদের কাছে গর্বের বিষয়।’
মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্টের (এমকিউএম) নেতা ফারুক সাত্তার বলেন, ‘আমরা বিশ্ববাসীকে একটা বার্তা পাঠাতে চাই, আমাদের একতাটা অদম্য। জম্মু ও কাশ্মীরে পানি নিয়ে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করলে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে, এটা ভারতের জানা উচিত।’
ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন তেহরিক-ই-ইনসাফের নেতা শাহ মাহমুদ কোরেইশি বলেন, ‘ভারত সিন্ধু নদের পানিচুক্তি নিয়ে যে আচরণ করছে, একে আগ্রাসনই বলা যায়। একটি শক্রুভাবাপন্ন আচরণ।’ তিনি আরো বলেন, ‘কাশ্মীরের অবস্থা আর বেলুচিস্তানের অবস্থা এক নয়। কাশ্মীর আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি বিতর্কিত এলাকা। যেখানে বেলুচিস্তান আমাদের সার্বভৌম রাষ্ট্রেরই একটা অংশ।’
পাকিস্তান মুসলিম লীগের (পিএমএল-কিউ) নেতা কামিল আলী আগা বলেন, ‘কাশ্মীর ও ভারতীয় আগ্রাসন ইস্যুতে আমরা এক জাতি এবং এক কণ্ঠস্বর।’
জামিয়াত উলেমা-এ-ইসলামের নেতা মাওলানা ফজলুর রেহমান বলেন, ‘এ অবস্থায় আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং প্রয়োজন সমন্বিত কণ্ঠস্বর।’ তিনি আরো বলেন, আজকের বৈঠক সারা বিশ্বকে ইতিবাচক বার্তা দেবে।