ক্যামেরনের সরকারে পুরোনো মন্ত্রীরাই
আগের মন্ত্রীদের নিয়েই সরকার গঠন করতে যাচ্ছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। সব হিসাব-নিকাশ পাল্টে গত বৃহস্পতিবারের সাধারণ নির্বাচনে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে ৬৫০ আসনের মধ্যে ৩৩১টি আসন নিয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে তাঁর দল কনজারভেটিভ। এরই মধ্যে ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সাথে দেখা করে সরকার গঠনের প্রক্রিয়াও শুরু করেছেন ক্যামেরন।
ক্যামেরন তাঁর নতুন মন্ত্রিসভায় আবার চ্যান্সেলর হিসেবে জর্জ অসবোর্নকেই রাখছেন। তিনি ফার্স্ট সেক্রেটারি অব স্টেট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করবেন। থেরেসা মে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ফিলিপ হ্যামন্ড পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং মাইকেল ফলোন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদেই থাকছেন।
এদিকে নির্বাচনে পরাজয় মেনে ব্যর্থতার দায়ভার নিয়ে গতকাল শুক্রবার দলীয় প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন বিরোধীদলীয় নেতা এড মিলিব্যান্ড, লিবারেল-ডেমোক্রেটিক পার্টির (লিবডেম) নেতা নিক ক্লেগ ও ইউনাইটেড কিংডম ইনডিপেনডেন্ট পার্টির (ইউকেআইপি) নেতা নিগেল ফারাগ।
নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পাওয়ার পর ডেভিড ক্যামেরন ‘এক জাতি’র জন্য এক সরকারের নেতৃত্ব দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। ১৯৯২ সালের পর এই প্রথমবার কনজারভেটিভ দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল।
ক্যামেরন এরই মধ্যে স্কটল্যান্ড ন্যাশনাল পার্টির (এসএনপি) নেতা নিকোলা স্টারজোনের সাথে কথা বলেছেন। দলটি স্কটল্যান্ডে ৫৯ আসনের মধ্যে ৫৬টি আসন পেয়েছে।
স্কটিশ পার্লামেন্টের ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য এই নতুন সরকারকে চাপ দেবে বলে আশা করছে এসএনপি। ক্যামেরন বলেছেন, ‘আমি আমার দেওয়া কথা রাখব। যতদ্রুত সম্ভব আমি সকল দলের সম্মতিতে ওয়েলস, স্কটল্যান্ড ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের মধ্যে ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ করব।’
গত বৃহস্পতিবারের নির্বাচনে ৬৫০ আসনের মধ্যে কনজারভেটিভ পার্টি পেয়েছে ৩৩১, লেবার পার্টি ২৩২, স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি (এসএনপি) ৫৬টি, লিবারেল ডেমোক্রেটস আটটি আসন পেয়েছে।
যুক্তরাজ্যে এককভাবে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ৩২৬টি আসন। কনজারভেটিভরা তার চেয়ে বেশি আসন পেয়েছে।