এএপির চ্যালেঞ্জে বিজেপি
দিল্লিতে নতুন সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে আজ শনিবার। নির্বাচনে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জে পড়েছে গত বছর ধরে জয়ের সুবাসে থাকা দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নেতৃত্বাধীন আম আদমি পার্টি (এএপি) তাদের কঠিন প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আজ শুরু হওয়া নির্বাচনের ফল প্রকাশ হবে ১০ ফেব্রুয়ারি। ভোটের আগে ও পরের ১০টি গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরেছে ভারতের টেলিভিশন চ্যানেল এনডিটিভি :
১. সকালে এক টুইটারবার্তায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘দিল্লিতে ভোট শুরু হওয়ার প্রাক্কালে আমি বিপুলসংখ্যক লোকজনকে ভোট দেওয়ার তাগিদ দিচ্ছি। আমি বিশেষভাবে তরুণ বন্ধুদের বিপুলসংখ্যক ভোট দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
২. ভোট শুরু হওয়ার পর সবচেয়ে বড় প্রশ্ন—কে হচ্ছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী? এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে ব্যক্তি পর্যায়ে। এতে মসনদের লড়াইয়ে আছেন ৪৬ বছর বয়সী কেজরিওয়াল ও ৬৫ বছর বয়সী কিরণ বেদি।
৩. গত বছরের মে মাসে ক্ষমতায় আসার পর প্রথম কোনো রাজ্য নির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা করল বিজেপি। দলটি সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ও সমাজকর্মী কিরণ বেদিকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করেছে। অথচ তিনি দলে যোগই দিয়েছেন জানুয়ারিতে।
৪. দলে যোগ দেওয়ার চার দিনের মধ্যেই কিরণ বেদিকে ভাবী মুখ্যমন্ত্রী ধরে নেয় বিজেপি। তবে এ ধরনের উদ্যোগ দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি করে। বিজেপি ১৬ বছর আগে দিল্লির মসনদে বসেছিল।
৫. দলে কিরণ বেদির আকস্মিক ভেড়ানোকে বিজেপির রাজনৈতিক কৌশলের বড় পরিবর্তন হিসেবেই ধরা হয়েছে।
৬. অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিপরীতে কিরণ বেদি জুঁতসই প্রার্থী হবেন বলে অনেকের ধারণা ছিল। ২০১১ সালে বেদি ও কেজরিওয়াল একই সঙ্গে দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনে সম্পৃক্ত ছিলেন। তাঁরা দুজনই ছিলেন রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা। কিন্তু দলের রাজ্য শাখার অনেক নেতা বেদির পক্ষে র্যালিতে অংশ নিতে রাজি না হওয়ায় প্রচারণার কৌশল পাল্টাতে হয়েছে বিজেপিকে।
৭. বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ বেদির পক্ষে প্রচারণায় শতাধিক আইনপ্রণেতা ও মন্ত্রীকে নিয়োগ করেন। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পাঁচ দিনে চার সভায় অংশ নেন।
৮. কয়েকটি জরিপে কেজরিওয়ালের পাসের সম্ভাবনা বেশি দেখা যায়। কিন্তু এগুলো নাকচ করে দেন মোদি ও অমিত। তাঁরা দলের নেতা-কর্মীদের জরিপে কান না দিতে বলেন।
৯. এবারের নির্বাচনে তিনবার দিল্লির শাসক দল কংগ্রেসকে বেশ নাজুক মনে হয়েছে। তাদের তৃতীয় অবস্থানে থাকা দল বলেই মনে হয়েছে। ২০১৩ সালের নির্বাচনে দলটি ৭০ আসনের বিধানসভায় মাত্র আটটি আসন পেয়েছিল।
১০. মাত্র ৪৯ দিন মুখ্যমন্ত্রী থাকার পর গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে অরবিন্দ কেজরিওয়াল পদত্যাগ করেন। এর পর নয় মাস কেন্দ্রীয় শাসনের অধীন থাকার পর দিল্লিতে নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষিত হয়েছে।