বুরুন্ডিতে ‘অভ্যুত্থান’, দেশে ঢুকতে পারেননি প্রেসিডেন্ট
মধ্য আফ্রিকার দেশ বুরুন্ডিতে সেনা ‘অভ্যুত্থান’ হয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট পিয়েরে কুরুনজিজা গতকাল বুধবার আঞ্চলিক সম্মেলনে যোগ দিতে পাশের দেশ তানজানিয়া সফরে গেলে এ ‘অভ্যুত্থান’ ঘটায় সেনাবাহিনীর একটি অংশ।
বুরুন্ডির সাবেক গোয়েন্দাপ্রধান এবং সাবেক প্রেসিডেন্টের সহযোগী মেজর জেনারেল গোডফ্রয়েড নিয়মবেয়ার এ অভ্যুত্থানের ঘোষণা দিয়েছেন।
বুরুন্ডির প্রেসিডেন্ট পিয়েরে কুরুনজিজা তানজানিয়া থেকে আর তাঁর দেশে ঢুকতে পারেননি। তাঁকে বহনকারী একটি বিমান অবতরণ করতে না পেরে আবার তানজানিয়ায় ফেরত গেছে। এ ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহল উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
বিবিসি জানিয়েছে, অভ্যুত্থানের সমর্থক এবং প্রেসিডেন্ট কুরুনজিজার অনুসারী সেনাসদস্যদের মধ্যে রাতভর ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে। অভ্যুত্থান সফল হয়েছে কি না, তা নিয়ে এখনো সংশয় রয়ে গেছে।
বুরুন্ডির সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল গোডফ্রয়েড নিয়মবেয়ার গতকাল বুধবার বেসরকারি একটি রেডিও স্টেশন থেকে প্রেসিডেন্টকে অপসারণ করার ঘোষণা দিলে রাজধানী বুজুমবুরার রাস্তায় হাজার হাজার মানুষ উল্লাস শুরু করে।
সেনাবাহিনী প্রেসিডেন্ট ভবন ও রেডিও অফিসগুলো দখল করে রেখেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে প্রেসিডেন্ট পিয়েরে কুরুনজিজার বিমানের অবতরণ ঠেকাতে জেনারেল নিয়মবেয়ার বিমানবন্দর বন্ধের নির্দেশ দেন।
নিয়মবেয়ার বলেন, প্রেসিডেন্ট অসাংবিধানিকভাবে তৃতীয়বার ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা চালানোয় তাঁকে পদচ্যুত করা হয়েছে। একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠনেরও ঘোষণা দেন তিনি এবং এর পর বিমানবন্দরসহ সপ পথ বন্ধের নির্দেশ দেন। এর আগে প্রেসিডেন্টের তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা নিয়ে বিক্ষোভ হয় দেশটিতে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, রাজধানী বুজুমবুরায় রেডিও ও টেলিভিশন স্টেশনের কাছে আজ সকালে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার রাতে সেনাসদস্যদের রাজধানী বুজুমবুরার রাস্তায় টহল দিতে দেখা যায়।
বিবিসি বাংলা জানিয়েছে, বুরুন্ডির বর্তমান পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক মহলেও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র উভয় পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের আফ্রিকাবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিন্ডা থমাস গ্রিনফিল্ড বলেছেন, আমেরিকা বরুন্ডির বর্তমান পরিস্থিতি গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে। যেসব খবর পাওয়া যাচ্ছে, তাতে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন। দ্রুত সহিংসতা বন্ধ করে স্বাভাবিক পরিস্থিতি আনতে সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। সহিংসতার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা প্রদান বন্ধ রাখাসহ প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণাও দেন তিনি।