সালাহ উদ্দিন নিজেই পুলিশের কাছে যান!
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ শিলংয়ে নিজেই পুলিশের কাছে যান বলে দাবি করেছেন তাঁর এক আত্মীয়। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে শিলং সিভিল হাসপাতালে সালাহ উদ্দিনের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে এই তথ্য দেন কলকাতার অধিবাসী এবং সালাহ উদ্দিনের দূর সম্পর্কের ভাই আইয়ুব আলী।
বিবিসি জানিয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার দুজন আত্মীয় সালাহ উদ্দিনের সাথে দেখা করেন। ওই আত্মীয়রা জানান, সালাহ উদ্দীন আহমেদ তাঁদের জানিয়েছেন, তাঁকে চোখ বাঁধা অবস্থায় কয়েকবার গাড়ি বদলে শিলং নিয়ে যাওয়া হয়।
চোখ বাঁধা অবস্থাতেই তাঁকে শিলংয়ের গলফ লিংক এলাকায় গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। চোখের বাঁধন খোলার পর তিনি বুঝতে পারছিলেন না যে কোথায় আছেন।পরে স্থানীয়দের জিজ্ঞাসা করে জানতে পারেন তিনি ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ে আছেন।
এই দুই আত্মীয় আরো জানান, এরপর সালাহ উদ্দিন আহমেদ শিলং পুলিশের কাছে গিয়ে নিজের পরিচয় দেন।
তবে গত দুই দিন ধরে শিলংয়ের পুলিশের পক্ষ থেকে বারবার দাবি করা হচ্ছিল এবং শিলংয়ের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছিল যে, শিলংয়ের রাস্তায় সালাহ উদ্দিন আহমেদকে উদভ্রান্তের মতো ঘুরতে দেখে স্থানীয় লোকজন থানায় খবর দেয়। এরপর পুলিশ তাঁকে সেখান থেকে প্রথমে শিলং সিভিল হাসপাতাল ও পরে মিমহ্যানস হাসপাতালে নিয়ে যায়।
সোমবার খুঁজে পাওয়ার পর থেকেই শিলং পুলিশ বিএনপির এই নেতাকে কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে রেখেছে। এমনকি যেসব ডাক্তার, নার্স সালাহ উদ্দীন আহমেদের চিকিৎসা করছেন, তাঁরাও স্বাস্থ্য তথ্য ছাড়া অন্য কোন বিষয়ে কোনো কথা বলছেন না।
শিলংয়ের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ডি জে গোস্বামী জানিয়েছেন, সালাহ উদ্দিন আহমেদের কাছে কিছু ওষুধ পাওয়া গিয়েছিল, যেগুলো বাংলাদেশের কোনো ওষুধ কোম্পানির তৈরি বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ এসব ওষুধের পাতায় বাংলা লেখা ছিল। ভারতে তৈরি ওষুধের পাতায় বাংলা লেখা থাকে না।
ডাক্তার ডি জে গোস্বামী আরো জানান, সালাহ উদ্দিন আহমেদ হৃদরোগে এবং প্রোস্টেটের জটিলতায় ভুগছেন। তার সঙ্গে পাওয়া ওষুধগুলো মূলত এসব রোগের।
৬৩ দিন নিখোঁজ থাকার পর খুঁজে পাওয়া বিএনপির এই নেতার সঙ্গে দেখা করতে বাংলাদেশে থেকে তার পরিবারের কয়েকজন সদস্য আজ শিলংয়ে পৌঁছান। এদের মধ্যে সালাহ উদ্দিনের এক ভাই হুমায়ুন রশিদ জানিয়েছেন, সালাউদ্দীন আহমেদের সঙ্গে তাদেরকে দেখা করার অনুমতি দিয়েছিলেন শিলং পুলিশের এসপি। কিন্তু পরে সেই অনুমতি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। দেখা করতে না পেরে ফিরে যান তাঁরা।
এ ছাড়া আবদুল লতিফ জনি এবং স্বপন নামে বিএনপির দুজন নেতাও বাংলাদেশ থেকে শিলংয়ে গেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।