ঘুপচিঘরে থেকে চর্মরোগে আক্রান্ত সালাহ উদ্দিন
ঘুপচিঘরে বন্দী থেকে চর্মরোগে আক্রান্ত হয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ। এ ছাড়া তাঁর কিডনির সমস্যাও দেখা দিয়েছে। ভারতের মেঘালয় রাজ্য পুলিশের হেফাজতে থেকে চিকিৎসা চলছে তাঁর।
মেঘালয় পুলিশের কয়েকটি অসমর্থিত সূত্রের খবরে বিবিসি বাংলা জানায়, নিখোঁজ বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন আহমেদ ভারতের গোয়েন্দাদের জানিয়েছেন, তাঁকে কোনো একটা জায়গায় ঘুপচিঘরে রাখা হয়েছিল দুই মাসের বেশি সময়। গত বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো তাঁকে প্রায় দুই ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে মেঘালয় পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।
এ ছাড়া গতকাল দুপুরে সালাহ উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে তাঁর দুজন আত্মীয় দেখা করেন। ওই দুজন তাঁকে খাবার আর পোশাক দিয়েছেন। তাঁর সাথে আত্মীয়দের কথাও হয়েছে। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা থেকে বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি তাঁর সাথে দেখা করেছেন ।
ওই আত্মীয়রা বিবিসিকে জানান, সালাহ উদ্দিন আহমেদ ৬২ দিন বন্দী অবস্থায় কাটিয়েছেন। তবে তিনি কোথায় ছিলেন, সেটা বলতে পারেননি। এরপর চোখ বেঁধে বেশ কয়েকবার গাড়ি বদল করে তাঁকে নিয়ে আসা হয় শিলংয়ের গলফ লিংক এলাকায়।
সালাহ উদ্দিন আহমেদকে উদ্ধৃত করে ওই দুই আত্মীয় বিবিসি বাংলাকে জানান, তিনি নিজেই পুলিশের কাছে গিয়েছিলেন। যদিও শিলং পুলিশ যদিও এতদিন দাবি করে আসছিল তাঁরা স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে সালাহ উদ্দিন আহমেদকে তাঁদের হেফাজতে নেন।
গত ১১ মে শিলংয়ে ‘অবৈধ অনুপ্রবেশের’ কারণে পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর থেকেই সালাহ উদ্দিন আহমেদ সেখানকার সিভিল হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এখানেই হাসপাতালে কারাবন্দীদের জন্য নির্ধারিত সেলে চিকিৎসাধীন সালাহ উদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ের পুলিশ কর্মকর্তারা।
গত ১০ মার্চ থেকে ‘নিখোঁজ ছিলেন’ বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ। তাঁকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে তাঁর পরিবার ও দলটির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে। তবে সালাহ উদ্দিন আহমেদকে আটক করা হয়নি বলে দাবি করে আসছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।