আদিম সমাজ ছিল লিঙ্গবৈষম্যহীন
শিকারভিত্তিক আদিম সমাজে কোনো সিদ্ধান্তে নারী-পুরুষের সমান অংশগ্রহণ ছিল। অর্থাৎ তৎকালীন সমাজ ছিল লিঙ্গবৈষম্যহীন। শুধু তাই নয়, মানুষের বিবর্তনের ইতিহাসের বেশির ভাগ অংশেই কোনো লিঙ্গবৈষম্য ছিল না। নতুন একটি গবেষণার ভিত্তিতে এই দাবি করেছেন যুক্তরাজ্যের গবেষকরা।
যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের একদল গবেষক আদিম সমাজ ও মানুষের বিবর্তনের ইতিহাসে লিঙ্গবৈষম্য কেমন ছিল তা নিয়ে গবেষণা করেন। এতে নেতৃত্ব দেন প্রতিষ্ঠানটির নৃবিজ্ঞানী মার্ক ডিবল।
গবেষকরা বলেন, সাধারণ মনে করা হয়, শিকার যেহেতু বেশি পুরুষালি কাজ তাই এমন সমাজে লিঙ্গবৈষম্য বেশি। আসলে বিষয়টি উল্টো। শিকারভিত্তিক আদিম সমাজে নারী-পুরুষের মধ্যে তেমন কোনো লিঙ্গবৈষম্য ছিল না। বৈষম্যের শুরু হয় কৃষিভিত্তিক সমাজে।
কঙ্গো ও ফিলিপাইনের দুটি শিকারভিত্তিক আদিম সমাজের ওপর তথ্য সংগ্রহ করেন গবেষকরা। পরে ওই তথ্য কম্পিউটারে নিয়ে বিশ্লেষণ করা হয়। এতে দেখা যায়, আদিম সমাজে সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ সমানভাবে অংশ নিত। এ ছাড়া সমাজের ওপর নারী-পুরুষের সমান প্রভাব ছিল।
গবেষকরা দাবি করেন, মানুষের টিকে থাকার জন্য প্রয়োজন লৈঙ্গিক সমতা। বিবর্তনের মাধ্যমে মানবসমাজকে আজকের পর্যায়ে আসতে দীর্ঘ সময় কোনো লিঙ্গবৈষম্য ছিল না।
গবেষকরা জানান, শিকারভিত্তিক ছোট সমাজে লোকসংখ্যা ছিল কম। আর যারা সমাজবদ্ধ ছিল, তাদের প্রত্যেকের সঙ্গেই সম্পর্ক ছিল নিবিড়। তাই প্রতিটি সদস্যের মতামতেরই গুরুত্ব ছিল।