নারীকে রক্ষা করতে না পারায় ১১ পুলিশের কারাদণ্ড
জনতার হাতে আফগান নারী হত্যার সময় নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে দেশটির ১১ পুলিশের এক বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ধর্ম অবমাননার অভিযোগে চলতি বছরের মার্চে কাবুলে উচ্ছৃঙ্খল জনতা ফারখুদা (২৮) নামের এক নারীকে পিটিয়ে হত্যার সময় ওই পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও তাঁকে বাঁচাতে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। পরে জানা যায়, ওই নারীর বিরুদ্ধে অভিযোগটি ছিল মিথ্যা।
আজ মঙ্গলবার কাবুলের আদালত ১১ পুলিশের কারাদণ্ড দিলেও অপর আটজনকে খালাস দিয়েছে।
চলতি বছরের মার্চে কাবুলে কোরআন পোড়ানোর অভিযোগে ফারখুদাকে পিটিয়ে হত্যা করে একদল উচ্ছৃঙ্খল জনতা। তবে প্রত্যক্ষদর্শী অনেকেই দাবি করেন, কোরআন পোড়ানোর বিষয়টি ঠিক নয়।
ফারখুদা হত্যার দায়ে চলতি মাসের শুরুর দিকে চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। একই অভিযোগে আরো আটজনের কারাদণ্ড হয়।
ফারখুদা হত্যার ঘটনায় বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। আফগানিস্তানেও অনেক প্রতিবাদ হয়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, শাম-দু শামশায়রা মাজারের কাছে এক তাবিজ বিক্রেতার সঙ্গে তর্ক করছিলেন ফারখুদা। ওই তাবিজ বিক্রেতা চিৎকার করে বলে, ফারখুদা কোরআন পুড়িয়েছে। এ সময় অনেক লোক সেখানে জড়ো হয় এবং ফারখুদাকে পিটিয়ে হত্যা করে।
চলতি মাসের শুরুতে ওই তাবিজ বিক্রেতারও মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আদালতে শাস্তিপ্রাপ্ত অনেকেই স্বীকার করেন, কোরআন পোড়ানোর কথা শুনে তাঁরা অনেকেই জড়ো হয়ে ফারখুদাকে পিটিয়ে হত্যা করেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তাও নিশ্চিত করেছেন, কোরআন পোড়ানোর কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।