ভারতে বাংলাদেশি নারী গণধর্ষণের শিকার, আটক ১
ভারতের ভূপালে এক বাংলাদেশি নারী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ একজনকে গতকাল সোমবার বিকেলে আটক করেছে। বাংলাদেশি ওই নারী (২০) ৪-৫ বছর আগে যশোরের অভয়নগর থেকে ভারতের মুম্বাইয়ে যান বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশের উপকমিশনার সঞ্জয় যাদবের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া জানায়, ভূপাল রেলওয়ে পুলিশের কাছ থেকে গণধর্ষণের ঘটনার খবর পেয়ে কল্যাণ-খোলসেবাদি থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় আটক করা হয় একজনকে। কিছু তথ্যও মিলেছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে।
গত সপ্তাহে একজন টিকিট পরিদর্শক বাংলাদেশি ওই নারীকে পাঠানকোট এক্সপ্রেসে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তিনি তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করেন। জ্ঞান ফেরার পর ওই নারী জানান, কল্যাণ রেলওয়ে স্টেশনে চত্বরে চার যুবক তাঁকে গণধর্ষণ শেষে গাড়িতে ফেলে পালিয়ে যায়।
কল্যাণ-খোলসেবাদি থানার উপপরিদর্শক ভি এস পাওয়ার জানান, এ ঘটনায় সাতজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
পুলিশ জানায়, চার-পাঁচ বছর আগে ওই নারী মানবপাচারকারীদের হাত ধরে মুম্বাই যান। সেখানে তাঁকে বিক্রি করে দেওয়া হয়। গণমাধ্যম জানায়, ওই নারী জিলু নামের এক ব্যক্তির সাথে কল্যাণ রেলওয়ে স্টেশনের পাশের এক বস্তিতে থাকতেন।
গত ১০ মে মধ্যরাতে তিন-চার যুবক ওই নারীকে কল্যাণ রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে নিয়ে যায় এবং পূর্ব পরিকল্পনামাফিক তাঁকে গণধর্ষণ শেষে অজ্ঞান অবস্থায় পাঠানকোট এক্সপ্রেসে ফেলে রাখে। ১১ মে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। ১৩ মে ভূপাল পুলিশ তাঁর জবানবন্দি গ্রহণ করে।