ভাসমান রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেবে যুক্তরাষ্ট্র
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধারে আন্তর্জাতিক উদ্যোগের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করছে। স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-মুখপাত্র মেরি হার্ফের বরাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাময়িকী টাইম বিষয়টি জানিয়েছে।
মেরি হার্ফ বলেন, বহুদেশীয় উদ্যোগে নেতৃত্বস্থানীয় ভূমিকা নেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত। এ উদ্যোগ নিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা।
একই সঙ্গে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতি মিয়ানমারের সরকারের নীতির বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। রোহিঙ্গারা দেশটিতে জাতিগত ও ধর্মীয় বৈষম্যের শিকার বলেও জানানো হয়েছে।
urgentPhoto
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে হার্ফ বলেন, ‘উপমন্ত্রী (অ্যান্টনি ব্লিনকেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) সমুদ্রে ভাসমান অভিবাসীদের উদ্ধার ও তাদের দ্রুত ত্রাণ-সহায়তা দিতে বাংলাদেশকে সহযোগিতার জন্য মিয়ানমারের সরকারের প্রতি আহ্বান জানাবেন। যেসব কারণে লোকজন সমুদ্রে নিজেদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলছে, সেসব বিষয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। এর মধ্যে আছে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের প্রতি মিয়ানমারের নীতি, যাতে জাতিগত ও ধর্মীয় বৈষম্য রয়েছে। আমার মনে হয়, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে স্বীকৃতি দেওয়াসহ রাখাইন রাজ্যে দীর্ঘ সময়ের বিভিন্ন বিষয়ের দায় নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে মিয়ানমার সরকারকে বলবেন উপমন্ত্রী।’
এক প্রশ্নের জবাবে মেরি হার্ফ বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী নিজেদের দায়িত্ব পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সমুদ্রে থাকা সাত হাজার অভিবাসীকে মানবিক সহায়তা দিতে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডের সিদ্ধান্তকে যুক্তরাষ্ট্র স্বাগত জানায়। যুক্তরাষ্ট্র একই সঙ্গে এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এ প্রচেষ্টায় সহায়তার আহ্বান জানায়। ২৯ মে ব্যাংককে অনুষ্ঠেয় সম্মেলনেও এটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে আলোচিত হবে। আমরা মনে করি, এ অঞ্চলের সব সরকার এ ইস্যুতে নিজেদের সম্পৃক্ত করে সম্মেলনে অংশ নেবে, যাতে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল উপস্থিত থাকবে।’