কাস্ত্রোর জন্য ৯ দিনের শোক, ৪ ডিসেম্বর শেষকৃত্য
বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রোর মৃত্যুতে কিউবায় নয়দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া ৪ ডিসেম্বর তাঁর শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম।
দেশটির কাউন্সিল অব স্টেটের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম আরো জানিয়েছে, আগামী ২৯ ডিসেম্বর থেকে কিউবার বিপ্লবের তীর্থক্ষেত্র বলে পরিচিত হাভানার রেভুলিউশনারি স্কয়ারে তাঁর মৃতদেহ সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হবে। সেখানেই দেশের জনগণসহ সারা বিশ্বের নেতারা বিপ্লবী এই নেতার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাবেন।
এরপর আগামী ৪ ডিসেম্বর কিউবার স্বাধীনতাযুদ্ধের শহীদদের জন্য নির্মিত সান্তা ইফিজেনিয়া সমাধিক্ষেত্রে ফিদেলকে শেষশয্যায় শায়িত করা হবে। এ সমাধিক্ষেত্রেই শায়িত আছেন ফিদেলের বন্ধু ও কিউবার স্বাধীনতাযুদ্ধের আরেক বিপ্লবী নেতা হোসে মার্টি।
তবে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কিউবার কমিউনিস্ট আন্দোলনের এ নেতার মৃত্যুর বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানায়নি। কীভাবে এই নেতার মৃত্যু হলো বা তাঁর শেষ সময়গুলো কেমন কেটেছে- এই বিষয়ে এখনো কোনো বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
২০০৮ সালে স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণে ভাই রাউল কাস্ত্রোর হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আগে ৫০ বছর ধরে কিউবার শাসনক্ষমতায় ছিলেন ফিদেল কাস্ত্রো। সর্বশেষ চলতি বছরের এপ্রিল মাসে কিউবার কমিউনিস্ট পার্টির সপ্তম কংগ্রেসে ভাষণ দেন বর্ষীয়ান এই নেতা। সে সময় তিনি বলেছিলেন, হয়তো তিনি শিগগিরই মারা যাবেন। কিন্তু বিপ্লব নিয়ে তাঁর পরিকল্পনাগুলো বেঁচে থাকবে। ওই ঘোষণার ঠিক সাত মাস পর সত্যি সত্যিই না ফেরার দেশে চলে গেলেন কিংবদন্তি এ নেতা।
স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে কিউবার প্রেসিডেন্ট রাউল কাস্ত্রো দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ভাই ফিদেলের মৃত্যুসংবাদ জানান। রাউল জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে মারা গেছেন কিউবার বিপ্লবের কমান্ডার ইন চিফ।
ফিদেল আলেসান্দ্রো কাস্ত্রো রুজের জন্ম ১৯২৬ সালের ১৩ আগস্ট। ১৯৫৯ সালে তিনি মার্কিন সমর্থিত একনায়ক ফুলগেন্সিও বাতিস্তার সরকারকে উৎখাত করেন। বাতিস্তা সরকারকে উচ্ছেদের পর ১৯৫৯ সালের ডিসেম্বর থেকে ১৯৭৬ পর্যন্ত কিউবার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি। ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে স্বেচ্ছায় অবসরে যাওয়ার আগ পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ২০০৮ সালে ভাই রাউল কাস্ত্রোর কাছে ক্ষমতা অর্পণ করে অবসরে যান ফিদেল।