অত্যাচার বন্ধে মিয়ানমারকে ইইউর আহ্বান
মিয়ানমারের প্রতি রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর অত্যাচার বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এ ছাড়া থাই সরকারের প্রতি সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের গণকবর আবিষ্কারের বিষয়টি তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে সংস্থাটি। গতকাল বৃহস্পতিবার সংস্থাটির প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে থাইল্যান্ডের মানবপাচারকারীদের প্রতি দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলা হয়।
urgentPhoto
জাতিসংঘের উদ্ধৃতি দিয়ে এতে বলা হয়, রোহিঙ্গারা পৃথিবীতে সবচেয়ে অত্যাচারিত গোষ্ঠী। মিয়ানমার বা বাংলাদেশ কেউই তাঁদের নিজেদের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়ায় রোহিঙ্গাদের প্রতি বৈষম্য বাড়ছে বলেও উল্লেখ করা হয় এতে। যত শিগগির সম্ভব অভিবাসন প্রত্যাশায় ভাসমান রোহিঙ্গাদের জীবনের স্বার্থে ইইউর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতি মিয়ানমার ও থাইল্যান্ড সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির আইন প্রণেতারা।
এর আগে অবৈধ পথে সমুদ্রে পাড়ি দেওয়া সাত হাজার অভিবাসীকে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া আশ্রয় দেবে বলে জানিয়েছিল। এর বাইরে কাউকে আশ্রয় দেওয়া হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়েছে দেশ দুটি।
কুয়ালালামপুরে এক যৌথ বিবৃতিতে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, তাঁরা অভিবাসীদের সাময়িকভাবে পুনর্বাসন করে দেশে ফেরত পাঠাবে। আগামী এক বছরের মধ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তত্ত্বাবধানে এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
ওই বিবৃতিতে আরো বলা হয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত হবে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া। বিশেষ করে অর্থনৈতিক সহায়তা, যাতে করে অভিবাসীদের অস্থায়ীভাবে আশ্রয় ও মানবিক সহায়তা দেওয়া যায়।
সমুদ্রপথে এরই মধ্যে তিন হাজারের বেশি রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি অভিবাসী মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছে। থাইল্যান্ডেও আশ্রয় নিয়েছে অনেকে। তবে তিনটি দেশই অভিবাসীদের প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করেছে। এ দেশগুলো নৌবাহিনীর সদস্যরা অভিবাসীদের অনেক নৌকাকে আবার সমুদ্রে ফেরত পাঠিয়েছে। এ নিয়ে জাতিসংঘসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।