বিশ্বের সবচেয়ে ঘৃণিতদের একজন বুশ!
বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ মানুষ কে? আপনাকে এক মিনিট সময় দেওয়া হলো এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য। চোখ বন্ধ করুন, আর ভাবুন গোটা বিশ্বের প্রেক্ষাপট থেকে।
এক মিনিট শেষ। এবার উত্তর দিন। আপনি হয়তো এক, দুই করে অনেকের নাম বলবেন। কিন্তু আপনি কি এই তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের নাম ভাবতে পারেন?
আপনি যদি না-ও পারেন, তবে জেনে নিন জর্জ ডব্লিউ বুশ রয়েছেন বিশ্বের সবচেয়ে ঘৃণিত মানুষের তালিকার ৪ নম্বরে। পশ্চিমা বিশ্বের বদৌলতে যে স্ট্যালিন, মাও সে তুংকে ব্যাপক ঘৃণার কথা বলা হয়, তাঁদের চেয়েও ‘এগিয়ে’ রয়েছেন বুশ।
সম্প্রতি বিশ্ব ইতিহাসের নায়ক ও খলনায়ক খুঁজতে করা এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। খলনায়কের তালিকায় এক নম্বরে রয়েছেন জার্মানির অ্যাডলফ হিটলার। এরপর রয়েছেন আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেন, তাঁর পরে ইরাকে সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন।
বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ মানুষ হিসেবে তালিকায় বুশের সঙ্গে রয়েছেন সোভিয়েত কমিউনিস্ট নেতা স্টালিন, চীনের বিপ্লবি মার্কসবাদী নেতা মাও সে তুং এবং মার্কসবাদী রুশ কমিউনিস্ট নেতা লেনিনের মতো মানুষ।
ডেইলি মেইল জানায়, গবেষণায় আরো দেখা যায়, মানব সেবার অনন্য প্রতীক মাদার তেরেসা, ভারতের অহিংস নেতা মহাত্মা গান্ধী, যুক্তরাষ্ট্রে নাগরিক ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় অহিংস আন্দোলনের নেতা মার্টিন লুথার কিং, আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা, খ্রিস্টান ধর্মের মূল ব্যক্তিত্ব যিশু খ্রিস্টকে ছাড়িয়ে বিশ্বের সেরা নায়ক বা শ্রেষ্ট মানুষ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন বিজ্ঞানী আইনস্টাইন।
আর্জেন্টিনা, পাকিস্তান, দক্ষিণ কোরিয়া, ইতালি, যুক্তরাষ্ট্রসহ ৩৭টি দেশের সাত হাজার শিক্ষার্থীর মতামতের ভিত্তিতে এই গবেষণা করা হয়েছে। যাঁদের গড় বয়স ২৩ বছর। মতামত গ্রহণের জন্য গবেষরা ব্যবহার করেছেন ল্যাটেন্ট প্রোফাইল এনালাইসিস (এলপিএ) পদ্ধতি। বিশ্ব ইতিহাসের ৪০টি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ওপরে ভিত্তি করে নিজেদের মতামত জানাতে বলা হয়েছিল এই শিক্ষার্থীদের।
এই শিক্ষার্থীদের যখন ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে শণাক্ত করতে বলা হলো তখন এঁরা প্রায় সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজনৈতিক বা সামরিক নেতাদের নাম উল্লেখ করেছিলেন। গবেষকরা বিশ্বাস করেন যুদ্ধ, দ্বন্দ্ব আর ক্ষমতার জন্য সংগ্রামই শিক্ষার্থীদের এই ধারণার কারণ। তবে যখন একই প্রশ্নের উত্তর তাঁদের ভেবে লিখে দিতে বলা হলো তখন সেই শিক্ষার্থীরাই বিজ্ঞানী আর মানবতাবাদীদের বেশি গুরুত্ব দিতে শুরু করলেন। যখন তাঁদের বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বর্ণনা করতে বলা হলো তখন যুদ্ধের পাশাপাশি শিল্প বিপ্লব ও বিজ্ঞানের বিভিন্ন উন্নয়নকেও সমানভাবে গুরুত্ব দিয়েছেন। পাশাপাশি ধর্মীয় আদর্শবাদী ও ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শবাদী উভয় ধরনের ব্যক্তিই সমান নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া পেয়েছেন।