অভিশংসনের মুখে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট পার্ক জিউন-হাই অভিশংসিত হতে পারেন। তাঁর প্রেসিডেন্ট থাকা না থাকা নিয়ে শুক্রবার পার্লামেন্টে ভোটাভুটি হওয়ার কথা রয়েছে।
রাজনৈতিক কেলেঙ্কারিতে নাম আসার পর পরই পার্কের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামে দক্ষিণ কোরিয়ার হাজার হাজার মানুষ।
পার্কের ক্ষমতাকে ব্যবহার করে তাঁর বিশ্বস্ত সহযোগী চয় সুন-সিল বিভিন্ন বিষয়ে প্রভাব খাটিয়েছেন এবং অর্থ উপার্জন করেছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। দুর্নীতিতে পার্কের ‘উল্লেখযোগ্য’ ভূমিকা আছে বলে আদালতে বলেছেন আইনজীবীরা। যদিও পার্ক এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এসব অভিযোগের জেরে চলমান বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে পার্ক জানিয়েছেন, তিনি পদত্যাগ করবেন না। বিষয়টি তিনি পার্লামেন্টের হাতে ছেড়ে দিয়েছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার বার্তা সংস্থা ইয়োনহ্যাপের সংবাদ অনুযায়ী, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দেশটির পার্লামেন্টে পার্কের অভিশংসনের বিষয়টি উত্থাপিত হয়। শুক্রবার ভোটে পার্কের সরে যাওয়ার পক্ষে রায় দেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
পার্লামেন্টের কমপক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ ভোট পড়লেই পার্ককে অভিশংসন সম্ভব হতে পারে। এটার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
পার্লামেন্টে বিরোধী ও স্বতন্ত্র আইনপ্রণেতাদের আধিপত্য রয়েছে। তবে অভিশংসনের জন্য পার্কের দল সেনুরি পার্টির কমপক্ষে ২৮ জন আইনপ্রণেতার ভোট দরকার হবে।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত কিছু প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সেনুরি পার্টিতে পার্কের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার মতো অনেকেই রয়েছেন। আর যদি ভোট বিপক্ষে যায়, তবে তা মেনে নেবেন বলে চলতি সপ্তাহে ঘোষণা দিয়েছিলেন পার্ক।
অভিশংসনের পক্ষে পার্লামেন্টে ভোট বেশি পড়লেও দ্রুত সরানো যাবে না পার্ককে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব নিলেই কেবল দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেবেন প্রেসিডেন্ট।
এর পরও দরকার হবে নয় সদস্যের সাংবিধানিক আদালতের বিচারকদের চূড়ান্ত অনুমোদন। তাঁরা অনুমোদন দিলেই কেবল অভিশংসিত হবেন পার্ক।